বন্দরের চার্জ মওকুফে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছে বিজিএমইএ

60

করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি তৈরি পোশাক শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের সকল চার্জ ও ডেমারেজ চার্জ মওকুফের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম। গতকাল বুধবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কাছে চিঠির মাধ্যমে তিনি এ সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে, বন্ধ হচ্ছে কারখানা। এ পর্যন্ত ১,৬৫০টি পোশাক শিল্প কারখানার ৩.২২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের রপ্তানী আদেশ বাতিল/স্থগিত করেছেন ক্রেতারা, যা প্রতিদিনই বাড়ছে। পোশাক শিল্পের মালিকগণ কারখানা চালু রাখা, মজুরী প্রদানসহ আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। এদিকে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটিসহ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে লকডাউন আরো প্রলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে প্রায় সকল তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ/ছুটি ঘোষণা করায় উৎপাদন কার্যক্রমসহ যাবতীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে, যা আরো দীর্ঘায়িত হবে। তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের এই বিপর্যন্ত অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে তা কাটিয়ে ওঠা অত্যন্ত দূরুহ হবে। তাই এ শিল্পের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমদানীকৃত চালান খালাসে ফ্রি টাইম পরবর্তীতে বন্দরের প্রযোজ্য সকল চার্জ ও ডেমারেজ চার্জ মওকুফ করা অত্যন্ত জরুরি ও ন্যায় সংগত মনে করছি।
এই প্রসঙ্গে তিনি চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সংকট উত্তরণের সহায়তা প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, চীন সে দেশের সকল চার্জ মওকুফ করেছে। একইসাথে তিনি শিপিং এজেন্ট ও আইসিডিসমূহকে ডেমারেজ চার্জ মওকুফ করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য মন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।