বডিবিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের নারীরা

29

শুধু পুরুষরাই শরীর গঠন করবে কেন? মেয়েরাও তো পারে বডিবিল্ডার হতে। এমন চিন্তা থেকেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজন করা হয়েছিল মেয়েদের বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম শিরোপাজয়ী হলেন ১৯ বছর বয়সী অহনা রহমান। বাংলাদেশের রক্ষণশীল সমাজে মেয়েদের বডিবিল্ডিংয়ে উঠে আসার ব্যাপারটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় যেখানে বিকিনির জয়জয়কার, সেখানে বাংলাদেশের প্রতিযোগিরা পোশাকের ক্ষেত্রেও সচেতন ছিলেন।
ঢাকায় তিন দিনের প্রতিযোগিতা শেষে শিরোপা জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় অহনা রহমান বলেন, ‘আমি সত্যিই ভীষণ খুশি। এর জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। কেউ আমার পেশিবহুল শরীর দেখে সমালোচনা করবে, এমন ভাবনা কখনই মনে আসেনি। এক্ষেত্রে আমার বড় ভাই আমাকে ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। তিনি নিজেও একটি ফিটনেস সেন্টার চালান। এই প্রতিযোগিতায় আমাদের জন্য সঠিক ড্রেস কোডটাই ছিল। এটা বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেরা।’
বাংলাদেশের বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, এই আয়োজন করতে গিয়ে তারা প্রচুর সাড়া পেয়েছেন। এই আয়োজন মেয়েদেরকে শরীরচর্চা সম্পর্কে উদ্বুগ্ধ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রে খুব সচেতন ছিলাম। কারণ আমাদের ধর্মীয় এবং সামাজিক রীতি রক্ষণশীল। যে কারণে আমরা মেয়েদের জন্য লং সিøভ ক্রপ ড্রেস এবং লেগিংসের ব্যবস্থা করেছি। দেশে যে পরিমাণ জিমনেশিয়াম গড়ে উঠছে, এবং মেয়েরাও যাচ্ছে শরীরচর্চা করতে। এই প্রতিযোগিতা মেয়েদেরকে কর্মসংস্থানের সুযোগও করে দেবে।