বটি নিয়ে চড়াও মাদকাসক্ত

60

আকবরশাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী বড় কালীবাড়ি এলাকায় মাদকাসক্ত এক ব্যক্তির ধারালো বটির কোপে সন্ধ্যা রানী (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি একই এলাকার মৃত ধীরেন্দ্র নাথের স্ত্রী। গতকাল রাত সাড়ে ৭ টায় সংঘটিত এ ঘটনায় ৬ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও শান্তি নন্দী (৭০), দিপক দত্ত (৪৮), টিংকু দত্ত (৪৫) ও প্রবীর তালুকদার (৪৫) নামে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সুনীল ঘোষের ছেলে সত্যজিৎ প্রকাশ পপি ঘোষকে আটক করেছে আকবরশাহ থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা নামতেই এলাকাটিতে মদের আসর বসে। ছোট-বড় অধিকাংশ মানুষ সেখানে মাদকে আসক্ত। সেখানকার নেশাগ্রস্তরা নানা মাদকে আসক্ত থাকলেও বেশিরভাগই মদের প্রতি আসক্ত। মদ খেয়ে মাতলামি করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এসময় জনতার রোষ থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ দেন মাতাল সত্যজিৎ প্রকাশ পপি ঘোষ।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি রাজু বণিক পূর্বদেশকে বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো মদ খেয়ে মাতলামি করছিল সত্যজিৎ। এরমধ্যে কেউ বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। সন্ধ্যা রানী সামনে পড়লে তাঁকেও এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। বাধা দিতে গেলে বাকিদেরকেও আহত করেন সত্যজিৎ। ঘটনাস্থলেই মারা যান সন্ধ্যা রানী’।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক শীলব্রত বড়–য়া পূর্বদেশকে বলেন, ‘উত্তর কাট্টলী এলাকায় মাদকাসক্ত এক ব্যক্তির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত কয়েকজনকে রাত ৮ টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এরমধ্যে সন্ধ্যা রানী নামে এক বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকি আহত চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে’।
আকবরশাহ থানার ওসি জসীম উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই সত্যজিৎকে আটক করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন সে মাতাল ছিল। আমরা মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হবো। তবে অবস্থা বুঝে মনে হয়েছে ওই যুবক কিছুটা ভারসাম্যহীন’।