মোটা চালের সাথে গরুর মাংস, আলু, ডাল মিশিয়ে তৈরি বিরিয়ানি সকলকে যে প্রচন্ড তৃপ্তি দিচ্ছিলো, সেটা সকলের মুখ দেখে বোঝা গেছে। বঞ্চিত পথশিশু আর নারী-পুরুষের সাথে সাবেক যুগ্ম সচিব, ডাক্তার, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম, সাবেক জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ একসাথে বসে খাবার খাওয়ার আনন্দ ঝিলিক দিয়েছিলো সকলের চোখেমুখে। শুক্রবার আয়োজিত এক ব্যতিক্রমী মধ্যাহ্ন ভোজে সৃষ্টি হয়েছিলো এই অভূতপূর্ব পরিবেশ। কোরবানী ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে বঞ্চিত শিশু ও নারী পুরুষের জন্য ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের এই আয়োজন করেছিলো নারী ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর বড়পোল শাপলা কমিউনিটি সেন্টারে মধ্যাহ্ন ভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিপুল পরিমাণ শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষকে আপ্যায়ন করা হয়। মধ্যাহ্ন ভোজের আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ছোটপুল পশ্চিম মহল্লা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী জামাল, সংগঠনের সভাপতি এইচ এম ওসমান গণি চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনজুর আহমেদ, সহ-সভাপতি মো. সেলিম উল্লাহ, দাউদকান্দি পরিবহনের জিএম কাজী মো. সেলিম উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. গোলাম সরওয়ার, মৌছাক মার্কেট’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, মানবাধিকার কমিশনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এস.এম. রফিকুল ইসলাম, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক সংগঠন সেক্রেটারি হাসান মুরাদ, উৎপল কুমার দাশ, নুরুন্নবী মজুমদার, হাজী মাঈন উদ্দীন, মোঃ আমানত, আরিফ নেওয়াজ, রোজি আহমেদ রোজি প্রমুখ। পরে অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোর কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন, ঈদের আনন্দ বঞ্চিত মানুষদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নারী ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী এই আয়োজন প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়। এধরণের মানবিক কাজে সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আহব্বান জানান বক্তারা। উল্লেখ্য, সংগঠনের সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় গত ৫ বছর ধরে বঞ্চিতদের জন্য এধরনের আয়োজন করে আসছে নারী ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন। বিজ্ঞপ্তি