বজ্রপাতে মা-ছেলে ও ভাই-বোনসহ নিহত ৫

161

কক্সবাজারের রামু ও উখিয়া এবং খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পৃথক বজ্রপাতে মা-ছেলে ও ভাই-বোনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয় আরও তিনজন। গতকাল রবিবার দুপুর ২টার দিকে বজ্রঘাতে রামু উপজেলায় সহোদর ভাই-বোনে এবং দুপুর ১২টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। অপরদিকে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার বর্ণাল ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া এলাকায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারে নিহতরা হলেন, রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কালারপাড়া এলাকার মৌলভী নুরুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (১৫) ও তার ভাই আফনান (২) এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৫ এর বাসিন্দা আব্দু শুক্কুর (৫২)।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল মনছুর জানান, দুপুরে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল। কালারপাড়া এলাকার মৌলভী নুরুল ইসলামের দুই সন্তান বৃষ্টির মধ্যে উঠনে খেলা করছিল। হঠৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৫ এর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মাহমুদ মোর্শেদ জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় রোহিঙ্গা আব্দু শুক্কুর ঘটনাস্থলে নিহত হন। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্কুর ওই ক্যাম্পের সাব-বøক জি-৮ থাকতেন। তিনি বøক-সি এর আবদুল করিমের ছেলে।
মাটিরাঙায় বজ্রপাতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এসময় একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, আব্দুল খালেকের স্ত্রী আয়েশা বিবি (৫০) ও ছেলে মো. মমিন (২০)। এ সময় আয়েশা বিবির মেয়ে আলিয়া বেগম (৩০)ও ছেলে আরাফাত হোসেন আহত হয়েছে। পৃথক ঘটনায় বেলতলী ইউনিয়নের খেদাছড়ার রাজিয়া খাতুন (৫৫) আহত হয়েছেন। আহতরা সবাই মাটিরাঙা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা যায়, ভোরে প্রচন্ড বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এ সময় বাড়ির ভেতর থাকা একই পরিবারের চারজনের হতাহতের খবর শুনে স্থানীয়রা আহত ভাই-বোনকে উদ্ধার করে মাটিরাঙা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ জাকির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে।