বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণের বেশি ইয়াবা উদ্ধার

35

ঢাকা মহানগরে ২০১৭ সালে ইয়াবা উদ্ধার হয়েছিল ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯৭ পিস। আর ২০১৮ সালে ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩০ পিস যা গত এক বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণেরও বেশি। চাহিদা বাড়ার কারণে নয়, অভিযান বৃদ্ধির কারণে বেশি মাদক উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, গত বছর সারাদেশে সব সংস্থা মাদকের বিরুদ্ধে তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। যে কারণে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পরিমাণ বেড়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে ১৫ হাজার ২৬৯টি। এর মধ্যে তদন্ত শেষে আদালতে ১৪ হাজার ৫শ ৩১টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তদন্তাধীন মামলা রয়েছে ৭৩৮টি। এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫ হাজার ৮শ চারজনকে।
ইয়াবার মতো গাঁজা, হেরোইন, বিদেশি মদ, চোলাই মদ, বিয়ার ও দেশি মদ উদ্ধারের সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায়
২০১৮ সালে বেশি ছিল। ২০১৭ সালে ২ হাজার ৮৭৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ডিএমপি যা ২০১৮ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭২৮ কেজি।
২০১৮ সালের ৪ মে থেকে আন্ষ্ঠুানিকভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। একই মাসের ১৮ তারিখ থেকে অভিযানে নামে বাংলাদেশ পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করে। বছরব্যাপী চলে এ অভিযান। টানা ওই অভিযানে সারাদেশে বিপুল মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পাশাপাশি মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা। যদিও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ শেষে মাদকবিরোধী অভিযান আরও বেশি জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম। তিনি বলেন, ‘গত বছরের সাঁড়াশি অভিযানে অন্য যেকোনও সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণে মাদক উদ্ধার হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ সপ্তাহ শেষে তা আরও জোরদার করা হবে। এবার তালিকা ধরে ধরে চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’