বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন

12

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। স্বাধীনতাবিরোধী খুনী জিয়া-মোস্তাকসহ রাজাকার-আল বদরেরা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। ইতিহাসের এ বর্বরতম হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় যুক্ত হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা তিনি নিজেই ইতিহাস। সেই ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার আদর্শ-উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মহাসড়কে সবাইকে সামিল হতে হবে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নগরীর আন্দরকিল্লার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সাহাবউদ্দিন মজুমদার রচিত ‘বাঙালা হতে বাংলাদেশ’ বিষয়ক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সাবেক নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল মোবারক বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের উপযুক্ত বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনী যারা এখনো বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশের স্বাধীনতাবিরোধী ও বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যার মদদদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। শোককে শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল হতে হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। আজ তারই সুযোগ্য কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও উদ্দেশ্য হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। সমস্ত ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানার কোন শেষ নেই। তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী নেতা ছিলেন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন যুদ্ধ করে গেছেন। যে ব্যক্তি আজীবন দেশের স্বাধীনতা ও এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করে গেছেন তাকেই সপরিবারে নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বদিউল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মহানগর ইউনিটের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, মিরসরাই কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি