বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখছে কমিউনিটি পুলিশ

64

সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শিল্প কারখানায় মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে শিল্প পুলিশ। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে কমিউনিটি পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩ কার্যালয় প্রাঙ্গণে কমিউনিটি পুলিশিং-ডে ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিএমইএ’র প্রথম সহ সভাপতি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও চট্টগ্রাম কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির আহবায়ক মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ চট্টগ্রামের পুুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক শফর আলী, চসিক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মো. জয়নাল আবেদীন, সাহেদ ইকবাল বাবু ও চেম্বার এর পরিচালক অঞ্চন শেখর দাশ। এছাড়া অনুষ্ঠানে নারী নেত্রী নাছরিন আক্তার, সিইপিজেড চট্টগ্রামের জিএম মো. খুরশিদ আলম, কেইপিজেড চট্টগ্রামের জিএম মসিহউদ্দিন বিন মেসবাহ, বিকেএমইএ পরিচালক শওকত ওসমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩ এর এএসপি মো. কামরুল হাসান পিপিএম।
সিটি মেয়র বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে সমাজের মানুষকে নিরাপত্তা, আইনি সহায়তা ও সেবা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বিশেষ অবদান রাখবে। তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং এর কাজ হচ্ছে নিজ নিজ কমিউনিটিকে ভালো রাখা। কমিউনিটিতে কী হচ্ছে তার খোঁজখবর রাখা। সবাই যার যার অবস্থান থেকে নিজেদের কমিউনিটিকে ভালো রাখতে কাজ করলে কমিউনিটির কাজ যেমন সমৃদ্ধ হবে, অন্যদিকে দেশে কোনো অশান্তি, বিশৃংখল পরিবেশ থেকে মুক্ত থাকবে। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ থাকবে না।
মেয়র বলেন, পুলিশের সাথে কাজ করি, মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব তা দূরীকরণে কার্যকরভাবে কাজ করছে কমিউনিটি পুলিশ। শ্রমিক-মালিক ও জনগণের মধ্যে যে কোনো বিভ্রান্তি বা গুজব সৃষ্টি করে কোনো ধরনের অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা হলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের অবদান অনস্বীকার্য হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণে সরকারের শিল্প পুলিশ প্রতিষ্ঠার মূল কারণ হলো শিল্প প্রতিষ্ঠানে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তা রোধ করা এবং শ্রমিক-মালিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করা। ব্যবসার অগ্রগতির কারণে আমাদের এ দেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নত দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে শিল্প পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের অবদান ম্মরণযোগ্য।
সিটি মেয়র বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিশন নিয়ে কাজ করছেন। এ ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর পাশে দাঁড়াতে হবে। দেশে ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়তে মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাস ও দুনীতিমুক্ত করতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বিকল্প নেই। সবধরনের অপরাধ নির্মূলে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই সবাই মিলে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে সমাজের সকল অনৈতিক কর্মকান্ড নির্মূল করতে সক্ষম হবে। সভার পূর্বে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিজ্ঞপ্তি