বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে কাজ করে যেতে চাই

78

চতুর্থবার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পর এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হলে মন্ত্রী, এমপির প্রয়োজন হয় না। যে অবস্থানে আছি, সেই অবস্থান থেকেই করা যায়। এ জন্য প্রয়োজন ভালো মন ও সততা। যেটি আমার আছে বলে মনে করি। কারণ আমি রাজনীতিতে এসেছি দেওয়ার জন্য, নেওয়ার জন্য নয়। এই নীতিতে আছি বলেই, এতযুগ মানুষ আমাকে ভালবেসে বার বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে আসছে। এতে আমি যেন এ সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্ব পায় তাও কিন্তু রাউজান তথা চট্টগ্রামবাসী বেশ দাবী জানিয়েছিল সরকারের প্রতি। কিন্তু আমি এটি বিশ্বাসী না হয়ে, আমি একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে আজীবন কাজ করে যেতে চাই।
এতে জননেত্রী শেখ হাসিনার যে সিদ্ধান্ত, তাকেই আমি সবসময় স্বাগত জানাই। তবে আমাদের ধৈর্য্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। আমি জীবনে যা কিছু পেয়েছি তা ব্যর্থতা থেকেই পেয়েছি। মানুষ ব্যর্থ হলে আরো এক ধাপ এগিয়ে যায় বলে আমি মনে করি। আমিও ১৯৯৬ সনে এসে প্রথমে কিছুটা হোঁচট খাই। কিন্তু এর পর রাউজানের মত একটি জায়গাকে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত করে ধারাবাহিক চারবার বিজয়ের রেকর্ড এখন দেশের মানুষের কাছেও আলোচিত হচ্ছে। এই বিজয়ের জন্য সাংবাদিক, ব্যবসায়ি, জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের অবদানের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এ অবদানের জন্য সকলের কাছে আমি ঋণী হয়ে গেলাম। এতে ভবিষ্যতেও এ ভালবাসা ও দোয়া অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, ফৌজিয়া খানম মিনা। উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সহ সভাপতি ডা.স্বপন বড়ুয়া, সোলেমান মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক ভুপেশ বড়–য়া, নুরুল আবছার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আহমদ, শাহ আলম, দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম, অর্থ সম্পাদক মোজাফ্র আহমেদ, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা, রাউজান পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, দোস্ত মোহাম্মদ খান, জাহাঙ্গীর সিকদার, আজিজুল হক কোম্পানী, সৈয়দ হোসেন কোম্পানী, জসিম উদ্দিন, এস.এম বাবর, সুমন দে, আহসান হাবিব চৌধুরী, নুরুল আমিন, ইসহাক ইসলাম, কাউন্সিলর জানে আলম, এডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত, আজাদ হোসেন, শওকত হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস ডলি, জেবুন্নেছা, রুবিনা ইয়াছমিন রুজি, ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, আবদুর রহমান চৌধুরী, বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, লায়ন সাহাবুদ্দিন আরিফ, সরোয়ার্দী সিকদার, নুরুল আবছার বাসি, সুকুমার বড়ুয়া, প্রিয়তোষ চৌধুরী প্রমুখ।