বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও সাকিবের পূজা উদ্বোধন

85

সুরেশ কুমার দাশ

ছোঁয়া-ধোয়ার কথাই ধরা যাক। অনেক লেখকদের লেখায় পড়েছি-পড়শি কিংবা বন্ধু কোনো মুসলিম ছেলে কোনো হিন্দু বন্ধুর ঘরে পানি-টানি খেলে এক সময় হিন্দুরা গøাসসহ ফেলে দিয়েছে। বা ফেলে দেয়ার মত পাত্রেই পানি বা অন্য কোনো খাবার খেতে দিয়েছে। এমনকি বাড়িতে মুসলমান গেলে যে পিঁড়িতে ওই মুসলমান লোকটি বসেছিলেন তা ধুয়ে ‘শুদ্ধ’ করে ঘরে নিত সেই হিন্দুরা। আর যেখানে মুসলমান লোকটি দাঁড়িয়ে বা হাঁটাহাঁটি করেছে সে জায়গাটা গোবর পানি ছিটিয়ে ‘শুদ্ধ’ করে নিত।
এক সময় এ বাংলা আর ওপার বাংলার সর্বত্রই এমনটা ছিল কথিত ‘হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক’। ঠিক হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক নয়, মুসলমানের প্রতি হিন্দুদের এমনই সৌজন্যতা ছিল। সেই জায়গা থেকে আজ হয়তো হিন্দুরা কিছুটা বেরিয়ে এসেছে। ভেতরে যাই থাক- বাইরে এ ধরনের কোনো আচরণ আজ হিন্দুদের মধ্যে নেই, থাকার কথাও নয়। তারা বুঝতে পেরেছে ধর্মের নামে এটা যে মানুষের প্রতি কোনো সৌজন্যতা হতে পারে না।
আজকের দিনে পূজা-পার্বণে কিংবা ঈদে-পরবে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ভেদাভেদ অন্তত বাহ্যিকভাবে ঘুচে গেছে।
তারই প্রমাণ হচ্ছে পশ্চিম বাংলার কালি পূজায় বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব খানকে আমন্ত্রণ জানানো। যেটা এক সময় সাধারণত কল্পনাও করা যেত না। সাকিব আল হাসান পূজায় আমন্ত্রণে গেছেন বা উদ্বোধন করেছেন। দুটোই কাছাকাছি বিষয়। এজন্য উনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সেইদিন আর আজকের দিনের কতই পরিবর্তন। যাদের ছুঁৎমার্গে কোনো ধর্মীয় বাধা নেই, তারাই সাকিবকে দুয়ো দিচ্ছেন-পশ্চিম বাংলায় গিয়ে পূজা উদ্বোধন করায় বা পূজার আমন্ত্রণ রক্ষা করায়। কিন্তু সেটা এমন কি ধর্মীয় নীতি লঙ্ঘন করলেন সাকিব। তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। বোঝা কঠিন- ধর্ম ও মনের ব্যাধি। ধর্ম সেদিনও ছিল, আজকেও আছে।
কিন্তু পূজার আমন্ত্রন রক্ষার জন্য শুধু সাকিবকেই দোষারোপ করা কেন? তিনি কি অধর্ম করলেন। বাংলাদেশে দুর্গাপূজার মত ঘটা করে যেসব পূজা হয়-সেখানে তো প্রায়ই মুসলমান রাজনীতিবিদরা-মন্ত্রী, এমপি সহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা উদ্বোধন করতে যান বা আমন্ত্রণ রক্ষা করেন। পরিদর্শন করেন। পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তাহলে শুধু সাকিবের ব্যাপারে আলাদা হত্যার বার্তা কেন। নাকি এটা অন্য সকলের জন্যই বার্তা- যারা মুসলমান হয়েও হিন্দুর পূজা পার্বণে সহায়তা করেন তাদের জন্যও। মুসলমান জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবিদের ব্যাপারে দোষের কিছু না থাকলে- শুধু সাকিবের ব্যাপারে আলাদা দোষ চাপানো কেন? মনে পড়ছে-অনেকে ক্রিকেটার আবার মাঠে নামাজ পড়েন, সিজদা দেন। ভুল মনে পড়ছে কিনা জানিনা। হয়তো ধর্ম রক্ষার দিক থেকে সাকিবকে অনেক প্রতিশ্রæতিশীল মনে হতে পারে হত্যার হুমকিদাতাদের। কারণ হত্যার হুমকিদাতা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের অনুসরণ করার দাওয়াইও বাতলে দিয়েছেন।
না হলে রাজনীতিকরা অহরহ পূজায় অতিথি হিসাবে যান। তাদের ব্যাপারে কোনো ক্ষোভ নেই কেন। তিনি পশ্চিম বাংলার গিয়ে পূজার আমন্ত্রন রক্ষা করলে দোষের কি। ধর্মীয় কোনো ব্যাখ্যা আছে?
হত্যার হুমকিদাতার- ক্ষোভই কারণ হতে পারে- আবার ভালোবাসাও। শুধু ধর্মের দিক থেকে প্রতিশ্রুত মনে হবার কারণে নাও হতে পারে। তার মানে সেই অর্থে রাজনীতিকরা সেই ভালোবাসা বা প্রতিশ্রæতি হত্যাকারীর কাছ থেকে পাচ্ছে না। সেটা যদি তাদের ক্ষেত্রে ‘তকমা’(সঠিকভাবে ধর্ম পালন না করার) হয়- তাহলে তারা হুমকিদাতাদের কাছ থেকে অনেকটা নিরাপদই বলা যায়।
আর পশ্চিম বাংলায় যারা তাকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন- তারা সাকিবকে কেন বাছাই করলেন? যেখানে ভারতীয়রা আইপিএল চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বসিয়ে রাখার জন্য আমরা গোস্বা করি। যেদেশে সাকিবের চেয়ে অনেক বেশি খ্যাত, অনেক অনেক সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার আছেন। তবুও তাকে আমন্ত্রণ জানানো কেন?
হয়তো তারা তাকে আমন্ত্রণ করেছেন- বর্তমান সময়ের একজন খ্যাত বাঙালি ক্রিকেটার হিসাবে। আমন্ত্রণ জানিয়ে হয়ত পুজোয় অন্য একটি মাত্রা আনতে চেয়েছিলেন। নয়তো পুজোয় তার মাধ্যমে একটি অসা¤প্রদায়িক বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। সেটা তারাই জানে।
পুজোয় যাওয়া, হুমকি পাওয়া- যা হবার তা হয়ে গেছে। কিন্তু তার পর..। যিনি সাকিব ক্রিকেটের মাঠে, ধীর-স্থির, লড়াকু, কৌশলী ও সাহসি খেলোয়াড়। যে কারণে তার খ্যাতি। সেই তিনি- খুব সহজেই হত্যার হুমকিদাতা ও তাদের গোষ্ঠীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। ভয়ে নাকি অন্যকিছু? যেকারণে তিনি ‘তাদের’ কাছে বেঈমান হতে চাননি।
এটাই। সেরা রেকর্ডের খেলোয়াড় হওয়া আর অন্যের হুমকিতে মুষড়ে পড়া। শুধু খেলোয়াড় হিসাবে জাতের পরিচয় দেওয়া, কিংবা বাঙালি হিসাবে জাতের পরিচয় দেওয়ার পাঠ। দুটোই ভিন্ন বিষয়।
কিন্তু এসব ঘটনার পরম্পরা আছে- সূচনাবিন্দু আছে। আজকালের মধ্যে নয়। সূচনা সেই বিভেদের মধ্যে। যে যারে যেমন বোঝোতে পারে, তেমন বোঝাপড়ার মধ্যেই। এভাবে বোঝাপড়াই মানবের সংসারে সর্বনাশের মূল। এটা শুধু সাকিবকে হুমকি দেওয়া হয়নি। অন্য যারা এভাবে পূজায় যাওয়া আসা করেন, আমন্ত্রণ রক্ষা করেন তাদের বিরুদ্ধেও বার্তা। নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে পূজায় যাওয়ার আগে অন্তত একবার ভাবতে হবে তাদের।
কিছুদিন আগে- এক সরকারি কর্মকর্তা তার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পোশাক পরার একটা বিহিত দিয়েছিলেন। তার ধর্মীয় বিশ্বাসমতে। এজন্য ওই অফিসারকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এই এটা আর একটা সূচনাবিন্দু। একজন শাস্তি পেলেই আর দশজন যে সেটার বিরুদ্ধে-তা কিভাবে বুঝবেন? অন্য দশজন সমর্থন আদায়ে কাজ করবে না তার খবর কে রাখে। একজনের ব্যাপারে শাস্তির ব্যবস্থা করা গেছে। দশজনের শাস্তির ব্যবস্থা করা কঠিন। আরও অন্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও একই রকম নির্দেশনা আসতে পারে। সেদিন নির্দেশনা সমর্থন করার অনেকে জুটবে। ইসলামপন্থীর ব্যানারে জোট বাঁধবে। তারা পক্ষ নিবে, সমর্থন দিবে। তারা দল বেঁধে বলবেন। মানববন্ধন হবে। ওয়াজ নসিহত হবে। প্রয়োজনে জঙ্গি মিছিল হবে। অন্যথা সাকিবকে হুমকি দেয়ার মত অন্যদের জন্য পরোয়ানা থাকতে পারে।
এটার একটা কারণ আছে-পর্দা মানে শালীন পোশাক। শালীন পোশাকের জন্য যদি ঘরে ঘরে বাধ্য বাধকতা থাকে তাহলে সরকারি অফিসের কর্মকর্তা বললে বেশি কিছুই বলেননি। সেটাই পোশাকের ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তার নির্দেশনার সহায়ক শক্তি। এতে আশ্চর্যের কিছুই তো দেখিনা।
সূচনাবিন্দু আর প্রেক্ষাপট কেন তৈরি হয়। এর শেষ বয়ানে এসে গেছি। হাইকোর্টের সামনে থেকে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসাবে নারী প্রতীকটি সরানো হয়েছে অন্তত এক বছর আগে। অনেকের মনে থাকতে পারে বিষয়টি। এই প্রতীকটি সরানোর জন্য কাদের দাবি ছিল। সেই দাবি সেসময় বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন? সেই নারী প্রতীকের পরনের পোশাক নিয়েও কথা উঠেছিল। এই পোশাকের কথা আর সেই সরকারি কর্মকর্তার পোশাকের বিধি দেয়ার কথা আবার মনে এল কিন্তু।
সেদিন যাদের দাবি মানা হয়েছিল- তারাই সুযোগ বুঝে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য গড়ার বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিচ্ছে।
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পৃথিবীতে উনার মত নেতা বিরল। ভারত আর পাকিস্তানের কথা যদি ধরি। মহাত্মা গান্ধি আর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। একজন ভারতের অন্যজন পাকিস্তানের জাতির পিতা। যে দুই দেশের জনগণ বিনা তর্কে তাদেরকে জাতির পিতা হিসাবে প্রাপ্য সম্মান দিয়ে থাকে। অথচ স্বাধীনতার কথা চিন্তা করলে- ভারত আর পাকিস্তান দুটি দেশ ব্রিটিশদের সাথে আলোচনার টেবিলে বসে স্বাধীনতা পেয়েছে। টেবিলের স্বাধীনতা পেতেও তাদের দুশো বছর লেগেছে। সেটা স্বাধীনতা অর্জনও নয়, বরং পাওয়া। ভারত আর পাকিস্তানের স্বাধীনতা পাওয়ায় বলতে গেলে জিন্নাহ এবং গান্ধির মত অনেকেরই অবদান আছে। তবু তারাই দুটি দেশের জাতির পিতা। তাদের জনগণ তা বিনা প্রশ্নে মানে।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবনের ১৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। জেল জুলুম সহ্য করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক চেতনাকে জাগ্রত করেছেন। একটি জাতিকে লড়াকু জাতিতে পরিণত করেছেন। বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়তে শিখিয়েছেন। যে জাতির কোনো পরিচয় ছিল না। যে জনগোষ্ঠী শুধু বৈষম্যের শিকার ছিল না- বাঙালিকে ঘৃণা করত- সেই তাদের আত্ম পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। লড়াই, সংগ্রাম শেষে তার ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ আত্ম বলিদান করেছে- তার তুলনা পৃথিবীতে হয় না। অন্তত বাঙালির কাছে তিনি অহঙ্কারের বৈদুর্যমনি।
সেই মহামানবের ভাস্কর্য গড়তে যখন সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে- তখন তার বিরোধিতার হুঙ্কার দিচ্ছে মোল্লারা। ধর্মের ধ্বজা উড়িয়ে নিশানা তাক করেছে- তারা জাতির পিতার বিরুদ্ধে। নিমকহারামির চিরাচরিত স্বভাব থেকে এরা সরেনি। বিস্মিত হলেও কিন্তু এটা বিস্ময়ের কিছু নয়।
সেদিন যদি সেই মূর্তি সরানোর বিষয়ে আপোস করা না হত আজ মোল্লারা জাতির পিতার ভাস্কর্য গড়ার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস করত না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মসম্মান ও অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপোস করেননি বলে স্বাধীনতা এসেছিল। আত্মপরিচয় ও আত্মসম্মান বলতে বাঙালির সংস্কৃতি ও আচার-বিচার সবই। সেটাই যদি আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় হয়- তাহলে কেন সেদিন নারীর প্রতীকটি সরানো হলো। সেই আস্পর্ধা থেকেই তো আজ তারা জাতির পিতা ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলার জোশ দেখাচ্ছে। তাদের সাহসের মাত্রা কোথায় চড়লে নির্দ্বিধায় এমন কথা বলতে পারে। সমাবেশ করে বিরোধিতা করছে।
এটা হলো সুযোগ-ধর্মের নাম দিয়ে জাতির পিতাকে অস্বীকার করা, হেয় করা। ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা তার অবদানকে অস্বীকার করা। সেদিন হাইকোর্টের মূর্তির সরানোর দাবি বাস্তবায়ন করাটা ছিল তাদের সূচনাবিন্দু। এতদিন তারা সময়ের অপেক্ষায় ছিল কেবল।
মনে করার কারণ নেই- এই দাবি শুধু কিছু মোল্লা মৌলবির দাবি। জাতির পিতাকে নিয়ে আমাদের মধ্যে শুধু রাজনৈতিক বিভাজনই স্পষ্ট। কিন্তু জনগণের মধ্যেও এই নিমকহারামির বীজ আছে।
যারা ধর্মান্ধ, সাকিবের সামান্য ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামায়, মূর্তি নিয়ে মাথা ঘামায় তারা জাতির পিতা কি জানে না? বুঝে না? বুঝতে চায় না-এটা মনে করার কারণ নেই। এরা অন্ধ, বধির , বোধহীন নয়। বাস্তবে এটাই তাদের পন্থা। এর আগে মহাত্মা লালন ফকিরের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরুদ্ধেও তারা উঠেপড়ে লেগেছিল। সেটা আর হয়নি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধি এই ইসলামী দল, সাকিবকে হত্যার হুমকি দাতা আর পোশাকের নির্দেশনা দেওয়া সরকারি কর্মকর্তা এরা কেউ একা নন। এরা এই বাংলাদেশের তথাকথিত ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। যারা কখনো এসবের প্রতিবাদ তো করবেই না, বরং পক্ষ হয়ে যুক্তি দেবে। নয়তো নিবর থেকে তাদের পক্ষ অবলম্বন করবে।
আর সাকিব আল হাসান এই তথাকথিত ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীর বাইরের কেউ নন। হয়তো হুমকি পাওয়ার সাথে সাথে উনার এই বোধোদয় হয়েছে- তিনি স্বধর্মবিরোধি কাজ করেছেন। ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় তিনি দ্রুত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এটা প্রশ্রয় নয়, আশ্রয় দেওয়া,লালনপালন করা। এভাবে অন্যরা নিরবে তাদের সহায়তা, সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে ধর্মের জিগির তুলে জাতির মধ্যে হিংসা-বিভেদ তৈরি হচ্ছে। আমাদের সাংস্কৃতিক মূলোৎপাটনের চেষ্টা চলছে।

লেখক : সাংবাদিক