বঙ্গবন্ধুর নাম মুছতে গিয়ে তারা এখন আস্তাকুঁড়ে : মোশাররফ

37

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ইতিহাসের রাখাল রাজা হিসেবে অভিহিত করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এ জনপদের ৩ হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি বার বার ভিনদেশি শাসক ও শোষকগোষ্ঠীর হাতে শোষণের শিকার হয়েছে। এ কালো অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুই বাঙালিকে প্রথম স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের আগে বাঙালি কখনো স্বাধীন ছিল না। নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে বাংলার শেষ নবাব বলা হলেও তিনি বাঙালি ছিলেন না। তার মাতৃভাষা ছিল পশতু। পাল, সেন, গুপ্ত বংশের রাজারাও বাঙালি ছিলেন না। তারা বাঙালিকে নানাভাবে অবদমিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাঙালি, তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। স্বাধীনতা অর্জন করেছি। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উদযাপন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে তারা মানব সভ্যতার ইতিহাসকেই অস্বীকার করে। আজ প্রমাণিত হয়েছে যারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চেয়েছিল, তাদের নামই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্রই উপহার দেননি, তিনি সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মানবিক সত্তাকে জাগ্রত করার প্রণোদনা দিয়ে গেছেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রাশেদ, মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো.জসিম উদ্দিন, উদ্যাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মো. খোরশেদ আলম, চসিকের কাউন্সিলর এইচএম সোহেল, জহুরুল আলম জসিম প্রমুখ। খবর বিজ্ঞপ্তির