‘বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রাম নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে’

32

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লেয়াকত আলী লাকি বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি রাজাকার-আলবদর বাহিনী ও তাদের দোসরদের পরাজিত করার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত ও সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনের আন্দোলনের জন্য বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে। যারা এ দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়ন চায়নি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, পরাজিত শত্রæরা দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস কায়েম করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে প্রধানমন্ত্রীকে এ পর্যন্ত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছিল ও আছে বলেই দেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত হয়েছে। সারাদেশে মুজিববর্ষের ক্ষণগনণা চলছে। মুজিব শতবর্ষ শুরুর সাথে সাথে সরকার সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছে। শিল্পকর্মের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর জীবন-সংগ্রাম নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নতসমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
গতকাল রবিবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত হাতে আঁকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্ববৃহৎ প্রতিকৃতি ও তাঁর সংগ্রামী জীবনের আলোকচিত্র ও সৃজিত শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের পৃষ্টপোষকতায় ও চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারির ২য় ও ৩য় তলায় প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবনের আলোকচিত্র ও শিল্পকর্মের প্রদর্শনী ৯ ফেব্রূয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগামী ২১ ফেব্রূয়ারি পর্যন্ত চলবে।
প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তিকার ফারুক তাহেরের সঞ্চালনায় প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক শায়লা শারমীন সাথী, বরেণ্য চিত্র শিল্পী আবুল মনসুর ও বাংলাদেশ চারু শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাউফুল আলম বাবু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার।
শেষে হাতে আঁকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্ববৃহৎ প্রতিকৃতি ও তাঁর সংগ্রামী জীবনের আলোকচিত্র ও সৃজিত শিল্পকর্মের প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন অতিথিবৃন্দ।
সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষনার্থী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি