বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদ গঠিত

84

নগরীতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেনকে চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফেতখার উদ্দিন চৌধুরীকে নির্বাহী চেয়ারম্যান ও নাসিরুদ্দিন চৌধুরীকে মহাসচিব করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম সাংস্কৃতিক সংগঠন চট্টল ইয়থ কয়ারের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএমএ’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম চিশতী ও চট্টল ইয়থ কয়ারের মহাসচিব অরুণ চন্দ্র বণিককে কো-চেয়ারম্যান এবং প্রবীণ সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীকে মহাসচিব করে ৫০১ সদস্য বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে বর্তমান সরকারের চট্টগ্রামস্থ সকল মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালামকে রাখা হয়েছে।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, যুব সংগঠন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি, বিএমএ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসহ, সকল নাগরিক ও উন্নয়ন সংগঠনকে সংশ্লিষ্ট করে কমিটির কাঠামো বিন্যস্থ করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিকভাবে এক বছরব্যাপী কর্মসূচির কথা চিন্তা করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জন্মদিনে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে এবং আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৭ মার্চ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।
যে সমস্ত কর্মসূচির কথা বিবেচনা করা হচ্ছে সেগুলো হলো, রচনা প্রতিযোগিতা, আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তঃ কলেজ ও আন্তঃ স্কুল-মাদ্রাসা প্রতিযোগিতা, থানা ভিত্তিক প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, ‘বঙ্গবন্ধু ও চট্টগ্রাম’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করা, টঙ্গীপাড়া গমন, নগরীতে বঙ্গবন্ধুর একটি বৃহদাকৃতির ভাস্কর্য স্থাপন, বহদ্দারহাট বেতার সম্প্রচার কেন্দ্রের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন ও চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানে স্মৃতিফলক স্থাপন। প্রশাসনের সম্মতি সাপেক্ষে ডিসি হিলে বঙ্গবন্ধুর নামে নানা কিছু করা যেতে পারে। যেমন ডিসি হিলের নাম দেওয়া যেতে পারে ‘বঙ্গবন্ধু উদ্যান’, পাহাড়ের ওপর স্যাটেলাইট কেন্দ্র স্থাপন, আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি ও আর্ট গ্যালারি স্থাপন।