বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবি

67

পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে সকল আওয়ামী পরিবারকে বিভেদের রাজনীতি হতে বিরত থাকতে হবে। আগামী ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে সকলকে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
১৫ আগস্ট দুপুর ১২টায় টাইগারপাস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকর‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও মাসুদ রেজার সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন খুলশী থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরন। বক্তব্য রাখেন চসিক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, কেন্দ্রীয় রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, খুলশী থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলী আশরাফ মজুমদার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন স্বপন, মহানগর আওয়ামী যুবলীগ সদস্য অধ্যাপক মো. কাজী মুজিবুর রহমান মুজিব, মাসুদ রেজা, রতন মল্লিক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, মঈনুদ্দিন রূপম, নাদিরা সুলতানা হেলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মো. সাইফুল ইসলাম মামুন, আনোয়ার হোসেন বাবু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।

শারজায় বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী
সংযুক্ত আমিরাতের শারজায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ এর যৌথ উদ্যোগে সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে আলোচনা সভা, জাতির পিতার প্রতিকৃতি বেদিতে সমিতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ, নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। কুরআন তেলাওয়াত করেন শফিকুল ইসলাম। এর পরপরই দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ শাখার কার্যালয়ে সমিতির সভাপতি এম এ বাশারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ মাকসুদের সঞ্চালনায় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসান জেনারেল ইকবাল হোসাইন খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল গনি চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন কনস্যুলেটের কর্মকর্তা কামরুল হাসান, মুহাম্মদ মনোয়ার হোসাইন, নুর-ই মাহবুবা জয়া ও মোজাফফর হোসাইন।
বক্তব্য রাখেন শেখ ফরিদ আহমেদ সিআইপি, প্রকৌশলী আবু নাসের, বাংলাদেশ সমিতির সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মাহাবুব, অর্থ সম্পাদক আবুল কালাম, আবুল বাশার, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, ছালেহ আহমেদ, মোহাম্মদ মামুন, কমিউনিটির পক্ষ থেকে কাজী মোহাম্মদ আলী, লায়ন নজরুল ইসলাম, হাজী শফিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ সিআইপি, খোরশেদ মোবারক, লে. (অব.) গুলশান আরা, এস এম শফিকুল ইসলাম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দুবাইয়ের ব্যবস্থাপক দিলিপ কুমার, মোহাম্মদ আকরাম, মোহাম্মদ হান্নান, জাহেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাহবুব, আকতার হোসেন বাদল প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে দেশ স্বাধীন হতো না। আর দেশ স্বাধীনতা লাভ না করলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আজো খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদেরকে অচিরেই দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শেষে ১৫ আগষ্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।-ইউএই প্রতিনিধি


সাদার্ন ইউনিভার্সিটি
নানা আয়োজনে সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে পালিত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। শোক দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পাতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ, খতমে কোরান, মিলাদ, দোয়া মাহফিলসহ বিশেষ আলোচনা সভা।
১৫ আগস্ট ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ, আরেফিন নগরে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফা, উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, উপদেষ্টা, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ শিক্ষার্থীরা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায়। জাতির দুর্ভাগ্য যে, আমরা মহান নেতাকে হারিয়েছি যার আঙ্গুলের ইশারায় দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো ক্লাসে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি জাতীয় দিবসের তাৎপর্য ও বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে ধারণা দেওয়া। যদি তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় তাহলে এ আত্মত্যাগ প্রকৃত মর্যাদা পাবে। খতমে কোরান ও মিলাদের পর ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট নিহত জাতির জনক এবং তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সম্প্রীতি পরিষদ
বাংলাদেশ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রীতি পরিষদের জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী স্মরণে আলোচনা সভা সংগঠনের উদ্যোক্তা ও আহবায়ক লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত ১৫ আগষ্ট বিকেল ৫টায় সিজেকেএস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবির প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী। সংগঠনের সদস্য আসিফ ইকবালের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, সিজেকেএসের সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, স¤প্রীতি পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ডা. জহর লাল ভট্টাচার্য, সিলভার স্টার বার্নাডেট, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী পরিতোষ কুমার বড়ুয়া, অধ্যক্ষ দীপক তালুকদার, এন্সলেম এল, মার্টিন, সেলিম হোসেন চৌধুরী, বাবুল কান্তি দাশ, সুমন চৌধুরী, সমীর দে। সভায় প্রধান অতিথি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির সত্ত¡ার অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম যদি না হত তাহলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতনা। বঙ্গবন্ধুকে যারা সম্মান করে না তারা কখনো দেশপ্রেমিক নাগরিক না। সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নিরবতা পালন করা হয়।


শহীদ এনএমএমজে ডিগ্রি কলেজ
নগরীর বাকলিয়া শহীদ এনএমএমজে ডিগ্রি কলেজে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কলেজে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কলেজের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখাসহ কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তির উপর আলোচনা সভা কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মালেক। এতে বক্তব্য রাখেন ও বঙ্গবন্ধুর স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন অধ্যাপক মো. রবিউল হাছান চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ, অধ্যাপক নাসরিন আক্তার, অধ্যাপক সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন, অধ্যাপক আবদুল আলিম আজাদ। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মো. নুরুল আলম রাজু, অধ্যাপক খাদিজা বেগম, অধ্যাপক আবদুল কাইয়ুম, অধ্যাপক খোন্দকার ছাদেক মাহমুদ, অধ্যাপক শাহীনুর বেগম, অধ্যাপক বিশ্বকর শর্মা ভাষ্কর, অধ্যাপক জয়শ্রী নাথ, অধ্যাপক ঝুমুর খাস্তগীর, অধ্যাপক মো. আলী, অধ্যাপক ফারহানা আকতার , অধ্যাপক ইশরাক ইরতিফা মাহমুদ, সৈয়দ সিকদার, জনাব আশীষ দস্তিদার ও প্রভাষক মো. বদরুদোজা প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতা হয়। সভা শেষে জাতির জনকের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বন্দর থানা আওয়ামী লীগ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বন্দর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ৩নং জেটি গেইট ফকিরহাটস্থ মেট্রো প্লাজায় সংগঠনের কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি নুরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ কোম্পানী।
সভায় বক্তারা বলেন, ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে নৃশংস হত্যাকান্ড পরবর্তী সরকারগুলো বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার জন্য নানা রকম ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত ছিল ঘাতক চক্র। বক্তারা অবিলম্বে বিদেশে লুকিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর অবশিষ্ট খুনীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, সাইফুল আলম চৌধুরী, মো. ইসকান্দর মিয়া, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, কামাল উদ্দিন মেম্বার, হাজী আবদুল হাকিম, শাহেদ বশর, কামাল ইছাকী, হাজী মো. রফিক, সালাউদ্দিন বাদশা, জফুর আলম মজুমদার, আবদুল আজিজ, আবুল কালাম বিএসসি, কামাল কোম্পানি, এস এম ইউছুপ আলী, রিফাত আলম, দেলওয়ার হোসেন তাহের, কাইসার তালুকদার, মিজানুর রহমান মিজান, নিয়াজ আহমদ, মনির হোসেন, সরওয়ার জাহান চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর, এস এম ফারুক, আলমগীর বাদশা, শামীম হাবিব রুবেল, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, আবদুল হামিদ, মো. মুজিব, মো. মন্জুর আলম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা হাফেজ মো. মোরশেদ।


অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ১৫ আগস্ট সকাল ১১টায় প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব লিলি বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী শিক্ষক শ্বেতা চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কাজী মো. ইকবাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক দীপ্তি সেন গুপ্তা, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক চন্দন কুমার দাশ ও ফারহানা আক্তার, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে হাফসা বিনতে ওমর, তাজরিয়ান শামীম, আকলিমা আকতার, ইশরাত জাহান, শেখ তাহিয়া নাজনীন, লুলু মারজান প্রমুখ। সভার শুরুতে জাতির জনক ও তার শাহাদাত বরণকারী পরিবারের প্রতি দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধান শিক্ষক লিলি বড়ুয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই স্বাধীন দেশের জন্ম হত না এবং স্বাধীন দেশ হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেতো না। তিনি ছাত্রীদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদেরকে সৎ ও যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠার আহবান জানান।


হাইদচকিয়া স্কুল এন্ড কলেজ
ফটিকছড়ির হাইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। ১৫ আগষ্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সিনিয়র শিক্ষক মো. আবদুল হালিমের সঞ্চালনায় কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অধ্যক্ষ এবিএম গোলাম নুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য ডা.বিকে নাথ, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, হাজী মাহবুব আলম, শিক্ষক সদস্য কাজী মাহতাব উদ্দিন, নাসরীন আক্তার, মায়েদা আক্তার প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক সরোয়ার মামুন, অধ্যাপক সায়েম উদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষক টিপুল কান্তি শর্ম্মা, আবদুল্লাহ আল মতিন, হামিদা বেগম, শিক্ষার্থী নিজামুল হক চৌধুরী (মাহিন), রুমাইশা হাবিব চৌধুরী প্রমুখ। বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন কাজী মাওলানা মুহা. মাহতাব উদ্দিন।


ছিপাতলী কামিল মাদ্রাসা
দ্বীনি শিক্ষা নিকেতন ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, আজিজিয়া কাজেমী কমপ্লেক্স (ট্রাস্ট) বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন (মজিআ)’র সভাপতিত্বে হযরত ইমাম শাহ আহাম্মদ রেজা খান (রহ.) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল খতমে কোরআন শরীফ, মিলাদ-কিয়াম ও ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিববারর্গ, আত্মীয়বর্গ ও যারা শহীদ হয়েছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মাদরাসার শিক্ষকমন্ড লী ও ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।


যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট যুব রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রামের যুব প্রধান ইসমাইল হক চৌধুরী ফয়সাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের কার্যকারী পর্ষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম চৌধুরী পরাগ ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের ইউনিট লেভেল অফিসার আবদুর রশিদ খান। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের ক্রীড়া ও প্রকাশনা বিভাগীয় প্রধান মো. মঈনুল ইসলাম, উপ প্রধান কৃষ্ণ দাশ, স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগীয় উপপ্রধান তৌহিদুল ইসলাম, মুক্তদল সদস্য খুরশিদ আলম, মাহবুব উল্লাহ, হাবিবুর রহমান তুহিন, অভিষেক চৌধুরী, উম্মে সুরাইয়া, মায়মুনা আকতার, মো. সারতাজ হোসাইন, জাকির হোসেন, সাইদুর রহমান, আলহাদি মেহেরাজ। অনুষ্ঠানে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মো. ইয়াছিনুল করিম। বিজ্ঞপ্তি