‘বখে যাওয়া’ গ্রেটাকে স্কুলে ফিরতে বললেন ক্লার্কসন

24

পরিবেশ সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘের সামনে বক্তব্যে দিয়ে আলোচিত তরুণ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গকে ‘বখে যাওয়া’ শিশু হিসেবে অভিহিত করেছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ও উপস্থাপক জেরেমি ক্লার্কসন। একইসঙ্গে তাকে দ্রুত স্কুলে ফিরে যাওয়ার আহŸানও জানান তিনি। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি সানে প্রকাশিত এক কলামে তিনি মন্তব্য করেন, ‘গ্রেটার উচিত বড়রা তার জন্য যা করেছে তা সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা।’ এর আগে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ ভবনের সামনে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্ব নেতাদের যথার্থ ভূমিকা না রাখার জন্য অভিযুক্ত করে বক্তব্য রাখেন ১৬ বছর বয়সী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ। গ্রেটার ওই বক্তব্যেই ক্ষিপ্ত হয়েছেন দ্যা গ্রাউন্ড ট্যুর খ্যাত ব্রিটিশ এ উপস্থাপক।
জেরেমি ক্লার্কসন লিখেছেন, কী স্পর্ধা তোমার, কার্বন ফাইবার ইয়টে করে তুমি আমেরিকাতে এসেছো। ১৫ মিলিয়ন পাউন্ডে তৈরি হওয়া সে ইয়টটি তুমি তৈরি করোনি, এমনকি এ অর্থও তুমি আয় করোনি। এর একটি ডিজেল ইঞ্জিন থাকার কথাও তুমি উল্লেখ করোনি। ‘এক মুহূর্তের জন্য থেমে চিন্তা করো, রাতে কত শান্তিতে তুমি ঘুমাও। বড়দের সেবা ও সুইডেনের জঙ্গিবিমানের পাহারা তোমাকে নিরাপদ রাখে।’
তিনি আরও লেখেন, আমরা তোমাকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট দিয়েছি। তোমার প্রতিদিনের ব্যবহার করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমরাই তৈরি করেছি এবং এর অর্থ পরিশোধের জন্য আমরাই ব্যাংক চালাচ্ছি। বখে যাওয়া মেয়ে! এতোকিছুর পর তোমার কত স্পর্ধা আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলো!ক্লার্কসন তার কলামে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেন এবং এর মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। তিনি গ্রেটাকে এর জন্য রাস্তায় প্রতিবাদের বদলে স্কুলে ফিরে গিয়ে বিজ্ঞান নিয়ে অধ্যয়নের পরামর্শ দেন।
তিনি লিখেন, ‘বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা যেকোনো সমস্যাকে সহজে সমাধান করতে পারি, প্রতি পাঁচ মিনিটে চিৎকার চেঁচামেচি না করে।’ ‘হঠকারিতার সঙ্গে তুমি এ সপ্তাহে যাদের দোষারোপ করেছো, তাদের অনেকেই তাই করার চেষ্টা করছে যা তুমি চাও। সুতরাং ভালো মেয়ের মতো চুপ করো এবং তাদের কাজ করতে দাও।’
এদিকে জেরেমি ক্লার্কসনের মেয়ে এমিলি ক্লার্কসন টুইটারের মাধ্যমে গ্রেটার প্রতি তার সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। গ্রেটার প্রশংসা করে ব্রিটিশ কৌতুকাভিনেতা জন বিশপের এক টুইট বার্তাকে রিটুইট করে তিনি লিখেছেন, মধ্যবয়সী সব লোকেরা গ্রেটার মতো বিশ্বকে পরিবর্তন করতে চাওয়া সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কিশোরী সম্পর্কে যদি এভাবে কথা বলতো তবে কি তা ভালো হতো না। গ্রেটা থানবার্গ জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অভিযাত্রায় অংশ নিতে এখন কানাডায় অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, তিনি (জাস্টিন ট্রুডো) নিশ্চিতভাবে পর্যাপ্ত ভূমিকা পালন করছেন না। কিন্তু এটি বড় এক সমস্যা, যার সিস্টেমই ভুল। সব রাজনীতিবিদের প্রতি আমার বার্তা হলো, ‘শুনুন এবং বিজ্ঞান অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।’ বাংলানিউজ