বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন হেফাজত আমির শফী

61

মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মাহফিল ও দস্তারবন্দি সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি তার কথিত বক্তব্যের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যের একটি খন্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি দূর করতে হেফাজত আমিরের কার্যালয় থেকে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
হাটাহাজরী মাদ্রাসার মুখপাত্র সরওয়ার কামাল প্রেরিত বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফী বলেন, বক্তব্যে আমি মূলত বলতে চেয়েছি ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দার লঙ্ঘন হয়- এমন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের পড়াশুনা করানো উচিৎ হবে না। মনে রাখতে হবে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে শিক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ সকল কিছুই রয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষার বিষয় উৎসাহিত করা হয়েছে এবং সকলেই অবগত উম্মুল মুমিনিন হজরত মা আয়িশা রা. ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস।
ইসলামের একটি মৌলিক বিধান হচ্ছে পর্দা- এমনটা দাবি করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নারীদের পর্দার বিষয় ইসলামে সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে যেন পর্দার বিধান লঙ্ঘন না হয়। কারণ দেশের বেশিরভাগ সাধারণ শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সহশিক্ষা দেয়া হয়, অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে একই সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এতে পর্দার লঙ্ঘন হয়।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমাকে নারী বিদ্বেষী ও নারী শিক্ষা বিদ্বেষী বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। আমি কওমিপন্থী ছয় বোর্ডের নিয়ন্ত্রকারী হাইয়াতুল উলইয়ালিল জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান। ওই ছয় বোর্ডের অধীনে হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার সনদ গ্রহণ করে থাকেন। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রদান করেছেন। এতে দেশের লাখো মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রীরা দাওয়ারে হাদিস পাস করে মাস্টার্সের সমমান অর্জন করছেন। যে সম্মিলিত বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে হাজার হাজার নারী রাষ্ট্র স্বীকৃত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতা হচ্ছেন, সেই বোর্ডের প্রধান হয়ে আমি কীভাবে নারী শিক্ষার বিরোধী হলাম, তা বোধগম্য নয়।