ফ্লয়েডকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল

31

যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে বড় হয়েছেন শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিহত হওয়া কৃষ্ণাজ্ঞ জর্জ ফ্লয়েড। এই শহরে স্থানীয় চার্চের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তার স্মৃতি। সেই ফাউন্টেন অফ প্রেজ চার্চে রাখা ছিল ফ্লয়েডের মৃতদেহ। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেখানেই জর্জের ভাই ফিলোনিস ফ্লয়েড বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই ন্যায়বিচার পাব, পাবই’।
ফ্লয়েডকে হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলিতে আগের মতোই বিক্ষোভ চলছে। বিশেষ করে পথে নেমেছেন তরুণ ও যুবকরা। পনেরো-ষোল থেকে তিরিশ-পঁয়ত্রিশ বছর বয়সীদের প্রাধান্য বেশি। নিউইয়র্কের বিক্ষোভকারী ভিডাল গুজম্যান নিউ ইয়র্কটাইমসকে বলেছেন, ‘এটা হলো যুবদের বিপ্লব। আমরা তরুণ, যুব। আমাদের এনার্জি বেশি। আমরা বিশ্বাস করি আমরা যা করছি, ঠিক করছি।’ হোয়াইট হাউসের পাশেও বিক্ষোভ হচ্ছে। তবে সোমবার লোক অনেক কম ছিল। কয়েকশ লোক জমায়েত হয়েছিলেন সেখানে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পুলিশ সংস্কারেরদাবি উঠেছে। প্রতিটি শহরে বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি হলো, পুলিশি সংস্কার করতে হবে, দরকার হলে পুলিশ বিভাগই তুলে দিতে হবে এবং তাদের বাজেটে ব্যাপক কাটছাঁট করতে হবে। মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা সোমবার একটা বিল এনেছেন। যেখানে পুলিশি বাড়াবাড়ি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ অত্যাচার করলে সহজেই যাতে তা ধরা যায় তার ব্যবস্থা করার কথাও বিলে বলা হয়েছে। বর্তমান আইনে পুলিশ কর্মীরা যে সুরক্ষা পান, সে সবই ব্যাপকভাবে ছাঁটাই করার কথাও বিলে বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ অফিসাররা মহান ব্যক্তি। পুলিশ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় কোনো গোলমাল নেই। মার্কিন নিরাপত্তা অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, পুলিশের বাজেট কমানো বা পুলিশি ব্যবস্থা উঠিয়ে দেওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।