ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নয়

84

ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নির্মাণে বিরত থাকতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গতকাল চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রে জননিরাপত্তা, যানজট ও নগরীর সৌন্দর্যের বিষয় বিবেচনা করে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে দোকান ও সুপারশপ নির্মাণকাজ থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়।
এদিকে ৩ দিনের সময় দিয়ে সিডিএকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দেওয়ায় সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পূর্বদেশকে বলেছেন, আমরা প্রথম থেকে মৌখিকভাবে বিরোধিতা করে আসছি। কারণ এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়ার নয়। এখন আমরা লিখিত চিঠি দিয়েছি, যাতে এমন জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কাজ থেকে বিরত তারা থাকেন। তারপরও যদি সিডিএ দোকান নির্মাণ করে, ট্রেড লাইসেন্স দিবে না সিটি কর্পোরেশন। ফলে কেউ যদি লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে ব্যবসা করতে চান, তাহলে সিটি কর্পোরেশন যেকোন মুহূর্তে উচ্ছেদ করবে। এমন অনিশ্চিত কাজের জন্য ব্যবসায়ীদের টাকা ইনভেস্ট না করার আহবান জানান মেয়র নাছির।
উল্লেখ্য, এ ফ্লাইওভারের নিচে ১৪টি দোকান ও তিনটি সুপারশপ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সিডিএ। গত বছর ২৪ ডিসেম্বর সিডিএ স্থানীয় পত্রিকায় দোকান ও সুপারশপ বরাদ্দের বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেয়। সে অনুযায়ী প্রতিটি দোকানের আয়তন ১৩২ বর্গফুট এবং প্রতিটি সুপারশপের আয়তন ৭ হাজার বর্গফুট নির্ধারণ করা হয়। শুরু থেকে এর বিরোধিতা করে আসছে সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
গত সোমবার জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার মো. মাহফুজুর রহমান (মিলন) সিডিএ ও চসিকসহ ৯ সংস্থাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশে অবিলম্বে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারটির মূল নকশা সংরক্ষণ, দোকান-সুপারশপ নির্মাণ না করা, নির্মাণের উদ্দেশ্যে গৃহীত সকল পদক্ষেপ বন্ধ ও বাতিলের দাবি জানানো হয়। একইসাথে ভবিষ্যতেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত যেন আর না নেওয়া হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়। নোটিশ প্রেরণের ৩ দিনের মধ্যে অবহিত না করলে সিডিএ’র বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মামলা দায়েরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়।
জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মো. মাহফুজুর রহমান (মিলন) পূর্বদেশকে বলেন, আমরা তিনদিনের সময় দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। এমনকি তাদের ই-মেইলেও নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো কিছু অবহিত করেননি। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে সুপ্রীম কোর্টে মামলা দায়ের করবো।