ফেব্রূয়ারিতে এসেছে ৩০ হাজার মে. টন পেঁয়াজ

58

মিয়ানমার থেকে ফেব্রূয়ারি মাসে টেকনাফ স্থলবন্দর হয়ে ৩০ হাজার ৩৪৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তবে সেদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। দেশের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করছেন।
গতকাল শনিবার বিকালে টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন জানান, ফেব্রæয়ারি মাসের শেষদিন গতকাল মিয়ানমার থেকে ১, ৫৫৮ দশমিক ৯৭১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে খালাস করা হয়েছে। এসব পেঁয়াজ আমদানি করেন ১৪ জন ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী বাহাদুর আনেন ৩২৬ দশমিক ৬১৭ মেট্রিক টন, আয়াস ১৯৭ দশমিক ৮১৭ মেট্রিক টন ও সজীব ১৬৭ দশমিক ৬১৫ মেট্রিক টন। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রæত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ফেব্রূয়ারি মাসে পেঁয়াজ আমদানি গত জানুয়ারি মাসের চেয়ে দ্বিগুন হয়েছে। অন্যান্য পণ্য আমদানি কম হয়েছে। এতে মাসিক রাজস্ব আদায়ে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তারপরও দেশের চাহিদা পূূূরণে পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
শুল্ক বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে ডিসেম্বর মাসে ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন, নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ৩৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
এদিকে চলতি অর্থ বছরের আগস্ট মাসে স্বল্প পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়। এরপরে সেপ্টেম্বর মাসে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে মিয়ানমারের পেঁয়াজের প্রতি ঝুঁকে ব্যবসায়ীরা। চলতি অর্থ বছরের ফেব্রূয়ারি মাস পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এসেছে প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার ৮২৭। যা দিয়ে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা অনেকটা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ কাঁচামাল হওয়ায় আমদানিতে ঝুুুঁকিও বেশি, তারপরও আমদানি করে যাচ্ছি।
টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ফেব্রæয়ারি মাসে পেঁয়াজ আমদানি আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। দেশের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি করছেন। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ট্রলার থেকে দ্রুত খালাস ও সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুুমাত্র পেঁয়াজ খালাসের জন্য বন্দরে আলাদা জেটির ব্যবস্থা করা হয়েছে।