ফেইসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে মিছিল ও সড়কে ব্যারিকেড

53

ফটিকছড়ি উপজেলা সদরে পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. সাজ্জাদুল আলমের বিরুদ্ধে ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে গত সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও কয়েকটি গাড়ী ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে ৩ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর উপজেলা সদরে এক পক্ষ মিছিল করে এবং অপর পক্ষ নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে ব্যরিকেড দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্যরিকেড তুলে দেয়। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, গত ফটিকছড়ি উপজেলা সদরে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক (অনুর্ধ্ব-১৭) ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে সকল অতিথি চলে যাবার পর ফেইসবুকে ষ্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে রনি (২১) ও তার সাথে থাকা নাঈম (২১) ও রাহাত (২১) ফুটবল খেলা দেখে ফেরার পথে তাদের উপর হামলা করে প্রতিপক্ষরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রনির সমর্থকরা জড়ো হয়ে একটি মিছিল বের করে ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ গেটে পৌঁছে। তখন ওখানে থাকা প্রতিপক্ষরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় ৩ জন আহত হয়। এ খবর রনিদের এলাকা নাজিরহাট শাহ চৌমুহনীতে পৌছঁলে সেখান হতে লোকজন গিয়ে নাজিরহাট ঝংকার নামক স্থানে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে ব্যরিকেড দেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক অতনু চৌধুরী জানান, আহত ৩ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আহত রনি বলেন, সাজ্জাদকে নিয়ে আমি কিছু দিন আগে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সে স্ট্যাটাসের জের ধরে তারা এ হামলা চালায়। অন্যদিকে মো. সাজ্জাদুল আলমের নিকট জানতে চাইলে বলেন, আমি কলেজের ভেতরে অবস্থান করছিলাম। খেলা শেষে কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে যাবার সময় কলেজ গেইটে থাকা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে বলে শুনেছি। এর বাইরে আমি কিছু জানি না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার এসআই সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।