ফিলিপিন্সে টাইফুন কাম্মুরি নিহত ১, ফ্লাইট স্থগিত

20

ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় অঞ্চল লুজন দ্বীপের দক্ষিণ উপকূল দিয়ে টাইফুন কাম্মুরি সাগর থেকে স্থলে উঠে আসার পর ঝড়ের তাÐবে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ঘণ্টায় একটানা সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে টাইফুনটি সোরসোগোন প্রদেশে আঘাত হানে, যা দমকা হওয়া আকারে ঘণ্টায় ২৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল; জানিয়েছে বিবিসি। টাইফুনের প্রভাবে ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলাসহ ওই অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে বিমান চলাচল বন্ধ রাখার পাশাপাশি রাজধানীর সরকারি দপ্তরগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। স্থানীয়ভাবে টিসোয় নামে পরিচিতি টাইফুন কাম্মুরি স্থলে উঠে আসার আগেই স্থানীয় সরকারগুলো উপকূলীয় ও পার্বত্য এলাকাগুলোর দুই লাখ ২৫,০০০ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। এসব এলাকায় জলোছ্বাস, বন্যা ও ভূমিধসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে।
স্থলে উঠে আসার পর টাইফুনটি কিছুটা দুর্বল হয়ে ফিলিপিন্স দ্বীপপুঞ্জের কেন্দ্রীয় অংশের ওপর দিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। টাইফুনের কারণে ম্যানিলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছে। ফিলিপিন্সে শনিবার থেকে শুরু হওয়া সাউথইস্ট এশিয়ান গেমসের কয়েকটি ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে অথবা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাম্মুরি চলতি বছর ফিলিপিন্সে আঘাত হানা ২০তম টাইফুন। এর আঘাতে লুজনের বেশ কিছু বাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শহরাঞ্চলে গাছাপালা ও বিজ্ঞাপনের বোর্ড উল্টে পড়েছে। বিকোল অঞ্চলের এক সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা স্থানীয় রেডিওকে জানান, মাথার ওপরের ছাউনি শক্ত করে বাঁধার সময় ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। ম্যানিলা বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখায় প্রায় ৪৯৯টি ফ্লাইট স্থগিত রাখতে হয়েছে, এতে প্রায় এক লাখ লোক ভোগান্তিতে পড়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। দেশটির টাইফুন মুক্ত এলাকাগুলোতে বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।