ফিরিয়ে দাও আমার চট্টগ্রাম

116

বিশ্বে এই মুহূর্তে অনেক দেশেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন সম্পূর্ণ রূপে বিপর্যস্থ। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, ফিলিপিন্স, বাংলাদেশ সহ অনেক দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বড় বড় শহর বৃষ্টি ও বন্যার কারণে তলিয়ে গেছে, অন্যদিকে অনেক জায়গায় দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য গুলোতে চলছে তীব্র বন্যা আর দক্ষিণ আর উত্তর পশ্চীম ভারতে দেখা দিয়েছে প্রচন্ড খরা আর পানির সংকট যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ আর, মানুষের দৈনন্দিন জীবন। ক’দিন আগে চেন্নাইতে ট্রেনে করে কয়েক লক্ষ লিটার পানিয় জল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারতের সংবাদ মাধ্যম বলছে সেই দেশে বর্তমান ষাট কোটি মানুষ তীব্র পানি সংকটে ভুগছে। আবার অন্যদিকে ইউরোপের কোন দেশে আগাম গ্রীষ্মের আগমন ঘটেছে ঠিক তার বিপরীতে বেশ কয়েকটি দেশ হতে শীতের তীব্রতা এখনো কমছে না। এই সব প্রাকৃতিক দূর্যোগ অনেকটাই আমাদের নিজেদেরই তৈরি। মানুষ নিত্যদিন প্রকৃতির উপর যে ধরণের জুলুম করছে প্রকৃতিও তার নিজ নিয়মে এর প্রতিশোধ নিচ্ছে। অন্য দেশ বা শহরের কথা এই মুহূর্তে আলোচনা না করে আমার নিজ শহর চট্টগ্রামের দিকে একটু নজর ফিরাতে চাই।
চীনের বিখ্যাত পরিব্রাজক হিউ আন সাং সপ্তম শতকে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের সৌন্দর্য দেখে এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি চট্টগ্রামকে একটি নিদ্রা মগ্ন রূপবতি সুন্দরীর সাথে তুলনা করে বলেছিলেন ‘মনে হচ্ছে এই তরুণী কুয়াশা ভেদ করে জল হতে জেগে উঠছে’। পর্তুগিজ বণিকরা এই চট্টগ্রাম বন্দরকে নাম দিয়েছিলেন ‘চড়ৎঃড় এৎধহফধ’ অর্থাৎ বড় বন্দর হিসেবে। চট্টগ্রামের সৌন্দর্য পর্তুগিজদের জাতীয় মহাকাব্য ‘লুসিয়াদাসে’ উল্লেখ করা হয়েছে। তারও অনেক আগে প্রথম শতকে রোমান ভূবিদ্যাবিদ টলেমি চট্টগ্রাম বন্দরকে পূর্বদেশের একটি বড় বন্দর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পূর্ব ভারত, আসাম আর বার্মার সাথে বাণিজ্য করেছে আরব, পর্তুগিজ আর ইংরেজ বণিকরা। এই চট্টগ্রামে আমার জন্ম, একটানা কম পক্ষে অর্ধ শতাব্দিতো এই চট্টগ্রাম দেখেছি, এর ভরা যৌবন দেখেছি আর বর্তমানে এই শহরের করুণ অবস্থা আর মৃত্যু দেখছি। সব চেয়ে বড় দূঃখ এটি আমার প্রজন্মের মানুষকে দেখে যেতে হলো।
সপ্তাহ খানেকের বৃষ্টিতে ডুবে গেল ঐতিহাসিক ও এক সময়ের নয়নাভিরাম এই শহর। সৃষ্টি হলো নাগরিক জীবন বিঘ্নকারি এক ভয়াবহ সংকট। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী শুরু হলো এই পরিস্থতির জন্য পরষ্পর দোষারোপের পালা। জনগণ এই পরিস্থিতির জন্য দু’টি সংস্থাকে ভিলেন বানালো। প্রথমটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, দ্বিতীয়টি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সিডিএ। কেউ কেউ এর সাথে যোগ করলো ওয়াসাকে। সকলে এই সংকটের জন্য যে এই শহরের বাসিন্দারা কম দায়ী নয় তা উল্লেখ করা হতে বিরত থাকলো। সেই প্রসঙ্গে পরে ফিরে আসছি। প্রথমে নজর দিতে চাই এই শহরের নগর ব্যবস্থাপনার উপর।
চট্টগ্রামের নগর ব্যবস্থাপনার অতীত অতি গৌরবের। এই শহরে জন্ম নিয়েছিলেন একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ, যাকে নগরের আদি বাসিন্দারা নূর আহম্মদ চেয়ারম্যান হিসেবে চেনেন। একজন সফল নগর ব্যবস্থাপক ও চট্টগ্রাম পৌরসভার একটানা তেত্রিশ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে নূর আহম্মদ (চেয়ারম্যান) এখনো তাঁর কর্মের কারণে এই শহরে এখনো কিংবদন্তি। তিনি আলকরণের একটি মাটির ঘরে ১৮৯০ সালে জন্ম নিয়ে সেই মাটির ঘরেই ১৯৬৪ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তৎকালিন মুসলমানরা শিক্ষায় দীক্ষায় খুব বেশী অগ্রসর না থাকলেও নূর আহম্মদ ১৮৯০ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আরবি ও ফার্সি ভাষায় ও পরবর্তিকালে ইতিহাস বিভাগ হতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এমএ পাশ করেন। এর জন্য তিনি চ্যান্সেলরের গোল্ড মেডেলে ভূষিত হন। ইতোমধ্যে তিনি আইন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করে বিএল ডিগ্রি লাভ করে চট্টগ্রাম আদালতে একজন সফল আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। পরবর্তিতে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম হতে বঙ্গিয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এই সময়ে সমগ্র বৃহৎ চট্টগ্রাম জেলা হতে বঙ্গিয় আইন সভার জন্য দুটি আসন বরাদ্দ ছিল। অন্যটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন এ কে খান। প্রথম জীবনে এ কে খানও আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথম দশবছর নূর আহম্মদ পাকিস্তান গণপরিষদের একজন অত্যন্ত বাগ্মী সংসদ সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তিনি সুযোগ পেলেই চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের স্বার্থ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করতেন। ১৯৪২ সালে বঙ্গিয় আইন পরিষদে নূর আহম্মদ চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করেন। আইন পরিষদের সদস্য থাকাকালিন তিনি চট্টগ্রাম মিউনিসিপালিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিজয় লাভ করেন। পরে তিনি এই সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে একটানা তেত্রিশ বছর দায়িত্ব পালন করে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেন কারণ সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে একবার করাচি যাওয়া আবার চট্টগ্রামে ফিরে আসা এই দুইয়ের মধ্যে তিনি সময় দিতে পারছিলেন না।
মিউনিসিপালিটি’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করাকালে নূর আহম্মদ চেয়ারম্যানের একটি অসাধারণ কীর্তি ছিল চট্টগ্রাম শহরের বালক বালিকাদের জন্য বাধ্যতামূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন করা। এই উদ্দেশ্যে তিনি প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বালক ও বালিকাদের জন্য অন্তত একটি করে প্রাথমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। বালিকাদের জন্য শিক্ষা তখন গোঁড়া মুসলমানদের কাছে অনেকটা ‘হারাম’ ছিল। অনেক অর্ধ শিক্ষিত কাঠমোল্লারা তাঁকে তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য নানা ভাবে সমালোচনা করেন। তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন এবং নির্দেশ জারি করলেন যদি কারো ৬ থেকে ১০ বছরের শিশু থাকে এবং তাকে যদি স্কুলে পাঠানো না হয় তা হলে অভিভাবকদের পাঁচ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। শিক্ষানুৃরাগি এই কিংবদন্তি পুরুষের প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত এই উপমহাদেশে প্রথম। দূঃখের কথা বর্তমান প্রজন্ম এমন মহাপুরুষদের কথা জানেনা কারণ আমাদের গলদ শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন মানুষদের স্থান নেই।
১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম মিউনিসিপাল্টিকে চট্টগ্রাম পৌরসভা নামকরণ করা হয়। ১৯৯০ সালে পৌরসভা হয় সিটি কর্পোরেশন। ফজলুল করিম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি একজন জনবান্ধব চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর আমলে তিনি কোন কর খাজনা না বাড়িয়ে জনসেবা মূলক কাজের প্রভূত উন্নয়ন করেছিলেন। জোর দিয়েছিলেন জনস্বাস্থ্যের উপর। চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা তাঁর সময়ে ব্যাপক উন্নত হয়েছিল। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের কথা বলতে হলে অবশ্যই প্রয়াত আল্হাজ্ব মহিউদ্দিন চৌধুরীর কথা বলতে হয়। ছাত্র জীবন হতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন একেবারে তৃণমূল হতে উঠে আসা জনগণের নেতা। ১৯৯৪ সালে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পূর্বে আমি একটা জাতীয় দৈনিকে লিখেছিলাম ‘আর একজন নূর আহম্মদ চেয়ারম্যানের অপেক্ষায় চট্টগ্রামের মানুষ’। চট্টগ্রামের মানুষ ভুল করেন নি। মহিউদ্দিন চৌধুরী সরকারি দলের প্রার্থী মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে ষোল হাজার ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি যেহেতু জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করেছেন তিনি শত্রæকেও বন্ধু করে নিতে পারতেন। তাঁর আমলে তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তা করতে গিয়ে কখনো হয়তো তিনি কোন কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর একজন শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে পরামর্শ দিলে তিনি তা সহজে গ্রহণ করার চেষ্টা করেছেন। শেষের দিকে এসে তাঁর চিন্তা ভাবনার কিছু পরিবর্তন হলে তিনি তাঁর একজন অনুসারি নিজ দলের ওয়ার্ড কমিশনার মঞ্জুরুল আলমের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। তবে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনেক কীর্তি তাঁকে অমর করে রাখবে। তিনি যেই নির্বাচনে হেরে যান সেই নির্বাচনের আগে তিনি শ্লোগান দিয়েছিলেন তিনি চট্টগ্রামকে সিঙ্গাপুর বানাবেন। আমি তাঁকে বলেছিলাম চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুর হওয়ার প্রয়োজন নেই, চট্টগ্রামকে চট্টগ্রাম থাকতে দিন। তা নিয়ে আমি একটি জাতিয় দৈনিকে একটি কলামও লিখেছিলাম। কাজ হয় নি কিছু। নির্বাচনের ফলাফলের দিন যখন তাঁর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে পরে তখন দেখা যায় এক আমি আর একজন পিয়ন ছাড়া তাঁর নির্বাচনী প্যান্ডেলে অন্য কেউ উপস্থিত ছিল না। দূধের মাছিরা যথা সময়ে সঠকে পড়েছে।
অনেকের হয়তো শুনতে খারাপ লাগবে চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান অবস্থার জন্য প্রাথমিক ভাবে দায়ী রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে অন্তঃদলীয় কোন্দল। কোন্দলের কারণে প্রত্যেক সরকারের আমলে এই জেলা হতে একাধিক মন্ত্রী থাকা সত্তে¡ও এই শহরের তেমন কোন উন্নতি হয় না। বর্তমান মেয়র সরকার দলীয় হলেও তিনি স্বাধীন ভাবে কতটুকু কাজ করতে পারেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সকলের দৃষ্টি আগামী নির্বাচনে তাঁকে কী ভাবে পরাস্ত করা যায় সে’দিকে। গোল্লায় যাক চট্টগ্রামের উন্নয়ন। অপরিকল্পিত ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য অনেকে দূষছেন সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যানকে। এটি একটি কারণ বটে তবে একমাত্র কারণ নয়। শহরের পানি নিষ্কাষনের জন্য চট্টগ্রামে আটটির মতো বড় খাল ছিল। যারা এই খালগুলো দখল করেছে তারা সকলেই সকল সরকারের ঘনিষ্টজন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তেমন সাহস নেই কারো। নিতে গেলে আদালতের স্টে অর্ডার পাওয়া তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। এক সময় চাক্তাই খাল দিয়ে বার্মা হতে বড় বড় পণ্যবোঝাই গয়না নৌকা আসতো। এখন অবৈধ দখলের কারণে চাক্তাই খালের বিলুপ্তি হয়েছে। নির্বিচারে পাহাড় কাটার কথা বাদই দিলাম বড় সরকারের খাস জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত বড় বড় নালা দখল করে ইমারত নির্মাণ এই শহরের আরেকটি সংষ্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সব উচ্ছেদের সাহস কার আছে? শহরের বাসিন্দারা ড্রেন আর সিটি কর্পোরেশন স্থাপিত ডাস্টবিনের মধ্যে তফাৎ তেমন একটা বুঝে না। আমার বাড়ি যেই গলির ভিতর তাতে কোন গাড়ী ঢুকে না। রিক্সাওয়ালা জানতে চাইলে বলি ‘ডাস্টবিন পর্যন্ত’। কিছু দিন আগে সিটি কর্পোরেশন গলিটাকে ভাল করে কার্পেটিং করেছিল। ক’দিন পর ওয়াসার ‘ভাল সড়ক ধ্বংস বিভাগ’ এসে সেটা ফালা ফালা করে দিল। সেই অবস্থাতেই আছে। আমার মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে প্রথম দফায় তাঁকে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় নি গলির ভয়াবহ অবস্থার কারণে। বর্তমানে তিনি প্রয়াত। ওয়াসা চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে একটি বড় বাধা এবং সম্পূর্ণ রূপে একটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান। সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ আর ওয়াসায় টাকা না দিলে কোন কাজ হয় না বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ বহু পুরানো। প্রধানমন্ত্রীর যথেষ্ট আন্তরিকতা থাকা সত্তে¡ও এই মুহূর্তে ব্যক্তিগত ভাবে আমি চট্টগ্রামের কোন ভবিষ্যৎ দেখি না। চট্টগ্রামের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ কখনো কোন বাধা ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলেতো নই। বাধা যোগ্য ও দক্ষ নগর ব্যবস্থাপকের। অনেকে বলেন মাস্টার প্লান করা দরকার। মাস্টার প্লান অনেক করা হয়েছে। এখন প্রয়োজন যোগ্য ও দক্ষ মাস্টারের যাঁকে অন্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের জন্য একটি নগর সরকারের দাবি বহুদিনের। এই বিষয়টিকে সরকার গুরুত্ব সরকার চিন্তা করতে পারে। এই বয়সে একটাই আকুতি আমার প্রিয় চট্টগ্রাম আমাকে ফিরিয়ে দাও। চট্টগ্রামকে সিঙ্গাপুর বানানের প্রয়েজন নেই। চট্টগ্রামকে চট্টগ্রাম থাকতে দিন।
লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক