ফটিকছড়ি-মিরসরাই ১১ বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই

26

মিরসরাই ও ফটিকছড়িতে পৃথক অগ্নিকান্ডে ১১ বসতঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
মিরসরাই প্রতিনিধি জানান, মিরসরাইয়ে অগ্নিকান্ডে ১০ বসতঘর পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত রবিবার রাত ৮টায় উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার হৈয়া মিয়া বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন লিয়াকত আলী, মফিজুল হক, শহিদুল উল্ল্যাহ, আমান উল্লাহ, গোলাম কাদের, কামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার হামিদ হক, শাফায়েত উল্লাহ, মকসুদ আহম্মেদ সহ অন্তঃত ১০টি কাঁচা, আধাপাকা ঘর সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায়। এতে অনেকের জমির দলিল, নগদ টাকা, মূল্যবান স্বর্ণালংকার সহ সর্বস্ব পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পাশাপাশি গ্যাস সিলেন্ডারও বিস্ফোরণ হলে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের তীব্রতা বেড়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে ১০টি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় কোনকিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়, অন্যথায় আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতো।
সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক সাহায্য করেন। ক্ষতিগ্রস্তরা সহায়-সম্বল হারিয়ে এখন খুবই অসহায় তাই সবার উচিৎ তাদের পাশে দাঁড়ানো।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা তানভীর আহম্মদ জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রæত ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। কিন্তু সরু রাস্তা ও রাস্তায় বার (সেফটিবার) থাকার কারণে পৌঁছতে একটু সময় লাগে। এরপরও সীতাকুÐ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, ফটিকছড়িতে অগ্নিকান্ডে এক বসতঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার ফটিকছড়ি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাশেম ডাক্তারের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল নয়টার সময় উক্ত বসতঘরে কেউ না থাকার মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই ওই এলাকার মুহাম্মদ ফরিদুল আলমের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফটিকছড়ি দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পেঁৗঁছার আগেই সম্পূর্ণ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মুহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, বসতঘরের কিছু উদ্ধার করতে পারিনি। এতে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। আমি সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
ফটিকছড়ি দমকল বাহিনীর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) পুলক কান্তি সরকার বলেন, আমরা সেখানে পৌঁছার আগেই বসতঘরটি পুড়ে যায়। এতে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।