ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ওয়ালী চৌধুরী সড়কের বেহাল দশা

143

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ওয়ালী চৌধুরী সড়কটি বর্তমানে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কটি কার্পেটিং করার জন্য এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধির কাছে দাবি জানালেও তারা এ দাবীর প্রতি কোন কর্ণপাত করছেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওয়ালী চৌধুরী বাড়ি থেকে সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার অংশ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান গত ২০১২ সালের ডিসেম্বরে সড়কের ২০০ ফুট ব্রিক সলিং করেন। বাকি সড়কটি কাঁচা এবং তখন থেকে বেহাল। সড়কটিতে চলতে গিয়ে প্রতিদিন নাকাল হতে হচ্ছে কয়েক গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষের। আবার সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা সড়কে পানি জমে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন চলাচলরত সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি বেহাল এই সড়কে প্রায়ই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচলের সময় খানা-খন্দে পড়ে তাদের জামা-কাপড় নষ্ট করছে। এলাকার কৃতি সন্তান ব্যাংক কর্মকর্তা মো. মাহফুজ উল্লাহ চৌধুরী জানান, ভাঙা সড়কে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পথচারীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি সবার ভোগান্তি হচ্ছে বিভিন্ন কাজে। তিনি বলেন, সড়কটি দ্রুত কার্পেটিং করা হোক। তার জন্য আমরা সাংসদ, উপজেলার চেয়ারম্যান ও ইউএনওর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয় রোগীরা। বিশেষ করে গাড়িতে যেসব রোগী চলাচল করেন তাদের যন্ত্রণা অনেকাংশে বাড়ে। কারণ, জরুরি মুহুর্তে গাড়িতে করে তাদের হাসপাতালে আনতে হয়। সে সময়ে কাঁদার জন্য কোন গাড়ি সড়কে ঢোকানো যায় না। কলেজ শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জাহেদুল আলম বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কলেজে যাতায়াত করতে হয়। আসা-যাওয়ার সময় যখনই এই পথটুকুর কথা মনে পড়ে, তখনই মনটা খারাপ হয়ে যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির ওপর কয়েকটি গ্রামের লোকজন নির্ভরশীল। তারা এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করছেন। সর্বোপরি এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে এ সড়ক দিয়েই বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে হয়। সড়কের বর্তমান অবস্থা খোলা চোখে না দেখলে বলা মুশকিল।
সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, সড়কটি এলাকাবাসীকে চরমভাবে ভোগাচ্ছে। এটি কার্পেটিং করার জন্য এক কিলোমিটার ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। বাকি তিন কিলোমিটারও দ্রুত টেন্ডার হয়ে যাবে। তখন আর সমস্যা থাকবে না। উপজেলার এলজিইডির উপপ্রকৌশলী মুহাম্মদ জহুরুল আলম বলেন, ‘সড়কটি এক কিলোমিটার টেন্ডার হয়েছে। বাকি সড়কটি শিঘ্রই সার্ভে এবং প্রকল্প প্রাক্কলন তৈরী করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, ‘সড়কটি কার্পেটিং করার জন্য এলাকাবাসী আমাকে বলেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে খুব শিঘ্রই সড়কটি কার্পেটিংয়ের আওতায় আনা হবে। এজন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।