ফটিকছড়ির রামগড় চা-বাগান খুলছে আজ

154

দীর্ঘ ২৮ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার খুলছে ফটিকছড়ি উপজেলার রামগড় চা-বাগান? গতকাল বুধবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে আজ থেকে বাগানের পুরোদমের কাজ শুরু হবে।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বাগানটি। বাগানের অভ্যন্তরে পাানি নিষ্কাষণের একটি বাঁধ ও সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিলে বাগান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন মালিকপক্ষ। এতে কাজ হারান ৭৬২ জন শ্রমিক। মালিকপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়ে শ্রমিকদের। ফলশ্রæতিতে তারা একাধিকবার চা-বাগান বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় উপজেলা প্রশাসন। পূর্ব নির্ধারিত মতে গতকাল বুধবার ডাকা হয় বৈঠক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত হন মালিক ও শ্রমিক উভয়পক্ষ? আরো উপস্থিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আখতারসহ বিভিন্ন বাগানের ব্যবস্থাপক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। প্রায় তিন ঘণ্টা ম্যারাথন বৈঠকের পর জট খোলে? ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে বাগান খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
রামগড় চা-বাগানের পঞ্চায়েত সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মুন্ডা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের স্বার্থ বিবেচনা করে বাগান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাতেই ধন্যবাদ। আশাকরি ভবিষ্যতে শ্রমিকেরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। বৃহস্পতিবার থেকে বাগানের সব কাজ চলবে।’
বাগানের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শ্রম আইনে আমরা শতভাগ ন্যায্যতা শ্রমিকদের দিচ্ছি। বাগান কোম্পানি সম্পত্তি রক্ষা এবং উৎপাদন বাড়াতে বহুমুখী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এটাই স্বাভাবিক। বাগানের উন্নয়ন হলে শ্রমিকদেরও লাভ। বাগানের উন্নয়নে শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা তাদের ভুল বুঝে কাজে ফিরেছেন। তাদের ধন্যবাদ।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকদের এবং বাগান কর্তৃপক্ষের দাবির বিষয়টি নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সমঝোতা হয়েছে। বর্তমানে উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতে বাগানের শ্রমিক এবং মালিকপক্ষ সমঝোতায় বাগানের উন্নয়নকাজ পরিচালনা করবেন। এটাই আমরা কামনা করছি।’