ফটিকছড়ির মাদক সম্রাট ফরিদ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়

59

৪ একর জমির মালিক তিনি। একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আছে। পারিবারিক অসচ্ছলতাও ছিল না। তারপরও অধিক মুনাফার লোভে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার পূর্ব-ফরহাদাবাদ গ্রামের মৃত মুহাম্মদ ইছমাইলের ছেলে মুহাম্মদ ফরিদুল আলম (৫২) অন্ধকার জগতে নেমে পড়েন। প্রায় ১৫ বছর ধরে মাদকের প্রধান ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ১৯টি মাদক সংক্রান্ত মামলা আছে। এ মামলাগুলোতে তিনি জামিনে রয়েছেন। কিন্তু অতীতের কর্মকান্ডের জন্য ফরিদ অনুতপ্ত। মাদকের ব্যবসা ভালো কোনো কাজ নয় তার মধ্যে এমন উপলব্ধি হয়েছে। তাই ফরিদ মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। সুস্থ জীবন যাপন করতে চান।
ফরিদুল আলম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে দরখাস্ত দিয়ে নিজের অনুতপ্তের কথা ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে আর কোনো দিন মাদক ব্যবসা করবেন না এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন এমন অঙ্গীকার করেছেন। এজন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আর কখনো মাদক ব্যবসা করবে না বলে আমার কাছে অঙ্গীকার করেছেন ফরিদ। এছাড়া তার অতীতের কর্মকাÐের জন্য অনুতপ্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেন। সুস্থ জীবন যাপনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তার আবদার করেছেন তিনি।’ এ সংক্রান্ত অনুলিপি গত শনিবার চট্টগ্রামের জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বরাবরে প্রদান করা হয়েছে। ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আকতার বলেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ফরিদুল আলম এখন থেকে ভালভাবে চললে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু অঙ্গীকার করার পর যদি আবার এ কাজ করেন তাহলে তার দায় তাকে নিতে হবে। মাদক ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম বলেন, লোভে পড়ে ও সঙ্গদোষে তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মাদকের ব্যবসার কারণে মানুষ তাকে কখনো ভালোভাবে দেখত না।
প্রশাসনের কাছেও যেতে পারতেন না। আতঙ্কে দিন কাটাতে হতো। তাই দরখাস্ত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পরিকল্পনা করেন। তিনি আরো বলেন, ভুল বুঝতে পেরে আমি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে স্থানীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করি। পরে আমি লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আর কখনো মাদক ব্যবসা করব না। আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসব।