ফটিকছড়ির চা-বাগান মন রাঙিয়ে দেয় সবার

151

প্রকৃতি তার সবুজ সমরোহে অপরূপ সাজে সাজিয়েছে ফটিকছড়িকে। পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ এ উপজেলার ১৭টি চা বাগান। এছাড়া ফটিকছড়িকে আরও সৌন্দর্য্যমন্ডিত করেছে রাবার বাগানসহ নানা বৃক্ষ, চিরযৌবনা খাল, নদী, ছড়া, সবুজে ঘেরা পাহাড় ও পুরানো স্থাপনাগুলো।
জানা যায়, ৩০৮ বর্গমাইলের এ উপজেলায় ১৫ হাজার ৫ শত ৫৩ একর টিলা পাহাড়ি ভূমির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে চা বাগান। এশিয়ার বৃহত্তর কর্ণফুলী, উদালিয়া, রামগড়, দাঁতমারা, নিউ দাঁতমারা, নাছেহা, মা-জান, পঞ্চবটি, হালদাভ্যালী, নেপচুন, আধার মানিক, বারমাসিয়া, কৈয়াছড়া, আছিয়া, রাংগাপানি, মুহাম্মদ নগরসহ মোট ১৭টি চা বাগান। জাতীয় চাহিদার মোট ১০ শতাংশ চা যোগান দেওয়া হয় এসব বাগান থেকে।
এ ব্যাপারে উদালিয়া চা বাগানের মালিক শিল্পপতি মো. হেফাজতুর রহমান বলেন, ভারতের প্রত্যেকটি চা বাগান পর্যটন শিল্প হিসেবে ব্যবহার হয়। এখানে পর্যটকরা চা বাগানে বাংলোসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশে এমন পরিবেশ এখনও সৃষ্টি হয়নি। যদি বাংলাদেশ টি বোর্ড চা বাগানে পর্যটন শিল্প গড়ার জন্য উদ্যোগ নেয়, তাহলে পর্যটকদের জন্য অসম্ভব প্রিয় হবে ফটিকছড়ি। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এখানে ভিড় জমাবে।
চা বাগানের ব্যাবস্থাপক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, বাগানে বিশাল আকারের কয়েকটি লেক আছে, অতিথি পাখি, বিভিন্ন পশু দেখার জন্য পর্যটকরা এখানে আসেন। প্রতিদিন শত শত পর্যটকে মুখর হয় চা-বাগান এলাকা।
জানা যায়, ফটিকছড়ির ১৭টি চা-বাগানের প্রতিটিই আপন সৌন্দর্য্যে সমৃদ্ধ। চা-পাতা তোলার অপরূপ দৃশ্য, নজর কাড়া বাংলো এবং চা-বাগানের যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত সুন্দর। সবকিছু মিলিয়ে এসব চা বাগনকে পর্যটন শিল্পের আওতায় আনা যায়। ফটিকছড়িতে রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রাবার বাগান। বাগানগুলির সারিবদ্ধ গাছ সহজে সবার মন রাঙিয়ে দেয়।