ফটিকছড়িতে মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিল প্রভাবশালী

24

ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের ছোট বেতুয়া গ্রামে হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এলাকার এক প্রতাপশালীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষগুলোকে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগও পাওয়া গেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার দাঁতমারা ইউপির ছোট বেতুয়া গ্রামের নতুন মসজিদ এলাকায় ৪০বছরের পুরানো হাজারেরও অধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকার প্রতাপশালী জনৈক মাওলানা মো. ইউছুপ। এ নিয়ে ভুক্তভোগী মানুষগুলো ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নিকট বারবার ধর্ণা দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি। তার উপর সাধারণ মানুষগুলোকে মামলা দিয়ে বিভিন্ন্ হয়রানি করে চলেছে ওই প্রভাবশালী মাওলানা ইউছুপ। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী মো. শফিউল আলম জানান, দীর্ঘ ৪০বছরেরও পুরানো এ চলাচলের পথটি দিয়ে কয়েক’শ শিক্ষার্থী প্রতিদিন স্কুল-মাদ্রাসায় যাতায়াত করে। এলাকার মানুষের মসজিদে যাওয়া, দোকানপাটে যাওয়া, বাজার সওদা করতে বাজারে যাওয়ার এই একমাত্র পথটি বন্ধ করে দেয়ায় আমরা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের আকুল আবেদন, চলাচলের এ পথটি খুলে দিয়ে আমাদের দুর্দশা যেন লাগব করেন। স্থানীয় কাঞ্চন মিস্ত্রি, সাহাব উদ্দীন, তাজুল ইসলাম ক্ষোভের সাথে বলেন, মাওলানা ইউছুপ এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের চলাচলের পথ বন্ধ করে ক্ষান্ত হননি, তার উপর এলাকার সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে জেল খাটান। পথ বন্ধ করার সময় প্রতিবাদ করতে গেলে সাহাব উদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে বেধম মারধর করে। আমরা এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনিও কোন সুরহা করতে পারেনি। বর্তমানে আমরা চরম কষ্টে আছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মাওলানা মো. ইউছুপ বলেন, এটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। দীর্ঘ দিন ধরে তা অরক্ষিত ছিল। তাই যার যেদিকে সুবিধা চলাচল করেছে। বর্তমানে সেখানে আমরা বাড়ি-ঘর নির্মাণের চিন্তা করছি। তাই আগের মতো যে যেদিকে সুবিধা চলাচল করতে পারে না। তাই পথ বন্ধ করতে হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জানে আলম বলেন, আমার কাছে এ অভিযোগ নিয়ে এলাকার কয়েক ব্যক্তি যোগাযোগ করেছে। আমি অত্র ইউপির তিন জন মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়েছি সরেজমিনে গিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে এবং সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে করনীয় নির্ধারণ করতে। কিন্তু এরি মধ্যে ওই মাওলানা মো. ইউছুপ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে বসে। উক্ত মামলায় দু’ব্যক্তিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। তারা জামিন নিয়ে এসেছে। যেহেতু ঘটনাটি মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে সেহেতু ইউপি চেয়াম্যানের আর কিছু করার থাকে না।