ফটিকছড়িতে অর্থ আত্মসাৎ করে গৃহবধূর পলায়নের অভিযোগ

50

ফটিকছড়িতে আট লক্ষ টাকা ও স্বর্ণাংলকার আত্মসাৎ করে এক গৃহবধূ উধাও হয়েছে। সম্প্রতির এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। উপজেলার ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়নের উদাইয়া পাথর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের আদালতে একটি মামলা হয়েছে। মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের মো. ইলিয়াছ ২০০৫ সালে ইসলামী বিধানমতে তোফায়েলের কন্যা খতিজা আকতারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে ফাহমিদা আকতার (১৫) এবং ফারিয়া আকতার (৮) বছরের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পরিবারের শান্তির আশায় গত কয়েক বছর ধরে স্বামী ইলিয়াছ বিদেশে পাড়ি জমান। সেখান থেকে স্ত্রীর নামে বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা পাঠাতে থাকেন। এরই মধ্যে গৃহবধূ খতিজা আকতার পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। ফেণী জেলার এক কথিত কামাল উদ্দিন মজুমদার নামের গ্রাম্য ডাক্তার ওই এলাকায় এসে বসবাস করার সুবাধে তার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। স্বামী বিদেশে থাকায় তার সম্পত্তির উপর ওই গ্রাম্য ডাক্তারের কূনজরে পরায় খতিজা আকতারকে তাঁর ফাদে ফেলে। পরবর্তীতে খতিজার স্বামীর বিদেশ থেকে ঘর বাধার জন্য পাঠানো প্রায় আট লক্ষ টাকা এবং পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে চম্পট দেন। পরে তার কন্যাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে তার স্বামী মো. ইলিয়াছ গত ২১ নভেম্বর দেশে ফিরে আসেন। তিনি এসে বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ও ব্যক্তিবর্গকে জানায়। পরে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিয়া আবুল কালামের মধ্যস্থতায় একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তবে বৈঠকের কোন সুরাহা হয়নি। পরে স্বামী মো. ইলিয়াছের ভাই মো. ইউসুফ বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে খতিজা বাপের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মিয়া আবুল কালাম বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের এখানে ডেকে পাঠানো হয়। যেহেতু স্ত্রী খতিজা আকতার ও কথিত কামালের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা হয়নি সেহেতু তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। আদালতের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।