‘প্রেমের ফাঁদে’ আটকে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

50

নগরীতে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে এক ব্যবসায়ীকে আটকে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- মো. নাসির উদ্দিন (৩৫), প্রদীপ দাশ (৩৫), হাসিনা আক্তার ওরফে মুক্তা (৪৫) ও ছালেহা আক্তার (৪০)। নগরীর চান্দগাঁও থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান। এই চারজনসহ এ চক্রের মোট ছয়জন মিলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে কৌশলে আটকে রেখে ‘অশ্লীল’ ছবি তুলে তা প্রচার করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে আসছে বলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
ওসি মহসীন জানান, আলতাফ হোসেন (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে কিছু লোক চান্দগাঁও এলাকায় নিয়ে আটকে রেখে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে সোমবার দুপুরে তার ভাইসহ কয়েকজন থানায় এসে অভিযোগ করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে আলতাফের আপত্তিকর ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে এবং তাকে হত্যা করবে।
ওসি বলেন, বিষয়টি শুনে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখি, যে বিকাশ এজেন্ট নম্বরে টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে সেটি চান্দগাঁও থানার কামাল বাজার এলাকায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে এজেন্টের কাছ থেকে টাকা নিতে যাওয়া মুক্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্পের পাশে নূর মঞ্জিল নামে একটি ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে ব্যবসায়ী আলতাফকে উদ্ধার এবং নাসির ও প্রদীপকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এক তরুণীসহ দুজন পালিয়ে যায়। পরে নগরীর চামড়ার গুদাম এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত ছালেহাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি। খবর বিডিনিউজের
ওসি মহসিন বলেন, আলতাফকে ওই বাসায় আটকে রেখে মুক্তা ও অপর এক তরুণীর সাথে আপত্তিকর ছবি তোলা হয় এবং তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার চারজন একটি সংঘবদ্ধ পেশাদার অপরাধী চক্র। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের অপরাধ করে আসছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে, চক্রটি এই পর্যন্ত নগরীতে এ ধরনের অন্তত ৫০টি অপরাধ সংঘটিত করেছে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা মানসম্মানের ভয়ে থানায় কোনো মামলা করেনি।
মুক্তা বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ব্যবসায়ী আলতাফের সঙ্গে তার পরিচয়। মাঝে দুই বছর যোগাযোগ না থাকলেও রোববার তিনি ফোন করলে আলতাফ চান্দগাঁওয়ের ওই ফ্ল্যাটে যান।