প্রেমবাজারে বিশাল গর্ত ঝুঁকিতে চলছে যানবাহন

93

বাঁশখালীর প্রধান সড়কের প্রেমবাজার আমিন মার্কেটের সামনে ঝুঁকি নিয়ে বড় আকারের একটি গর্ত পাড়ি দিয়ে যান চলাচল করছে। মাস দুয়েক যাবত গর্তটি বড় আকার ধারণ করলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিরব ভূমিকা পালন করছে। এতে বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত সিএনজি অটোরিকশা ও বাস গর্তে আটকে যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না কোনোধরনের যানবাহন।
স্থানীয় চা দোকানদার দেলোয়ার হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, দুইমাস ধরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউ। প্রথমে ছোট একটি গর্ত থাকলেও এখন সেটা পুকুরে পরিণত হয়েছে। গর্ত পার হয়ে যাওয়া-আসার সময় সিএনজি অটোরিকশা, লেগুনা ও বাস আটকে যায়। আর গাড়ি আটকে গেলেই পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয় যানজট।
পুঁইছড়ির বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, রাস্তা সংস্কারের সময় একটি ছোট গর্ত কাজ না করে ফেলে রাখা হয়। ভারী যান চলাচলের ফলে দিন দিন সেটি বড় হয়ে গেছে। যারা রাস্তার সংস্কার কাজ করেছে তাদেরকে গর্তটি ভরাট করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তারা কথা শুনেনি। এখন সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সড়ক বিভাগ কিংবা জনপ্রতিনিধি কেউ গর্তটি সংস্কারে গরজ বোধ করছে না।
উপজেলা সদর বাস কাউন্টারের লাইনম্যান মো. ইউনুছ গতকাল বলেন, মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় গর্তটি অনেক বড় হয়ে গেছে। সকাল থেকে যেসব গাড়ি পেকুয়া থেকে ছেড়ে আসছে প্রত্যেক গাড়ি ১০ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত দেরিতে উপজেলায় আসছে।
বাস ড্রাইভার বেলাল আহমদ বলেন, বাঁশখালীর সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ না করায় বর্ষায় বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমবাজারে যে গর্তটি হয়েছে বর্তমানে সেটি অনেক বড় হয়ে গেছে। গাড়ি আটকে যায় গর্তটিতে। গর্তটি দ্রুত ভরাট করা না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল রহমান পূর্বদেশকে বলেন, ‘ গর্তটি বড় হয়েছে শুনেছি। আজকালের মধ্যেই এটি সংস্কার করা হবে।’