‘প্রিয়াঙ্কাকে পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত’

50

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা এলাকায় এক আত্মঘাতি গাড়ি বোমা হামলায় দেশটির ৪৪ জন সেনা নিহত হন। ওই দিনই এই হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহাম্মদ। এর দুদিন পরেই ভারত দাবি করে, তারা পাকিস্তানের সীমানায় অবস্থিত জইশ-ই মহাম্মদের ঘাটিতে হামলা চালিয়ে ৩০০ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে। এমন খবরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রশংসায় মেতে ওঠেন বলিউড তারকারা। অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমার ও কঙ্গনা রানাওয়াতসহ ডজন খানেক অভিনেতা-অভিনেত্রী টুইট করে হামলায় অংশগ্রহণকারী বিমান বাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানান। তাদের মধ্যে ছিলেন দেশটির আন্তর্জাতিক তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। তিনি টুইট করেন, ‘জয় হিন্দ। #ইন্ডিয়ান আর্মড ফোর্সেস।’ সম্প্রতি নায়িকার সেই টুইটের কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী আরমিনা খান। তিনি প্রিয়াঙ্কাকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। আরমিনার কথা, ‘পাকিস্তান ও গোটা বিশ্বের কাছে প্রিয়াঙ্কার ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি শরণার্থী শিশুদেরকে জড়িয়ে ধরে যেভাবে ছবি তুলেছেন তা খুবই ভালো। কিন্তু একবার যদি তাদের চোখের দিকে তাকান এবং তাদের যন্ত্রণা দেখেন তাহলে শান্তির জন্য আপনি সব করতে পারবেন।’ এর আগে প্রিয়াঙ্কার টুইটের জেরে তাকে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কারের আবেদন করে পাকিস্তান।
আবেদনটি অনলাইনে প্রকাশ হয়। পাশাপাশি সেটি ইউনিসেফ ও জাতিসংঘকে ট্যাগ করা হয়। পাকিস্তানের করা সেই আবেদনে বলা হয়, চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যুদ্ধকে উৎসাহ দিয়েছেন। তাই তিনি শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্বে থাকার অধিকার হারিয়েছেন।’ ২০১৬ সাল থেকে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। পাকিস্তানের দাবি, দুটি পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুধু ক্ষয়ক্ষতি আর মৃত্যু ডেকে আনবে। কাজেই ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নিরপেক্ষ থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষে টুইট করেছেন। তাই তিনি ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তাকে বহিষ্কার করা হোক।’ তবে পাকিস্তানের সেই আবেদনের ব্যাপারে ইউনিসেফ বা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার তরফ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে পুলওয়ামা ঘটনার জেরে বলিউডে পাকিস্তানি শিল্পী ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর বিপরীতে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ও তাদের দেশে একাধিক বলিউড ছবির মুক্তি নিষিদ্ধ করে। এমনকি দেশটিতে ভারতীয় চ্যানেলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।