প্রাণী হত্যা ছাড়াই ল্যাবে তৈরি হচ্ছে মাংস, সিঙ্গাপুরে অনুমোদন

70

যুক্তরাষ্ট্রের স্টার্ট-আপ ‘ইট জাস্ট’এর ল্যাবরেটরিতে তৈরি মুরগির মাংস বিক্রির জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে সিঙ্গাপুর। ‘ইট জাস্ট’ বলছে, বিশ্বে প্রথম পরিষ্কার মাংস হিসেবে নিয়ন্ত্রকদের অনুমতি পেয়েছে তারা। রয়টার্স বলছে, কোনও প্রাণীকে হত্যা করে এই মাংস প্রস্তুত করা হয় না। স্বাস্থ্য, প্রাণীকল্যাণ এবং পরিবেশ সম্পর্কে বিশ্ববাসীর উদ্বেগের কারণে প্রাণী-মাংসের বিকল্পের চাহিদা বাড়ছে। বিশ্বে দুই ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষাগারে মাছ, গরু ও মুরগির মাংস নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। বিকল্প মাংসের বাজারে তারা সাড়া ফেলবে বলে আশা করছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২৯ সাল নাগাদ বিকল্প মাংসের বাজার দাঁড়াবে ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। মাংসের উদ্ভিদভিত্তিক বিকল্পগুলো ইতিমধ্যে সুপারমার্কেট ও রেস্তোরাঁর মেন্যুতে আসতে শুরু করেছে। বিয়ন্ড মিট ইনকরপোরেশন ও ইমপসিবল ফুডসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের মাংস জনপ্রিয় করে তুলছে। তবে ক্লিন বা কালচারড মাংসের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এ ধরনের মাংস সাধারণ পরীক্ষাগারে প্রাণীর পেশিকোষ কালচার করে তৈরি করা হয়। তবে এর উৎপাদন খরচ বেশি বলে এখনও তা জনপ্রিয় হয়নি। বুধবার ইট জাস্ট-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপদ ব্যবহারের জন্য সরাসরি প্রাণীর কোষ থেকে তৈরি সত্যিকারের, উচ্চমানের মাংস বিশ্বের প্রথম অনুমোদন দিল সিঙ্গাপুর।
এতে দেশটিতে এ মাংস স্বল্প আকারে বাজারে আনার পথ খুলে গেল। ইট জাস্ট বলছে, তাদের মাংস নাগেট হিসেবে বিক্রি করা হবে এবং আগে প্রতিটির দাম ছিল ৫০ ডলার। তবে এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জস টেটরিক বলেন, দাম কমে আসবে এবং সিঙ্গাপুরের বাজারে আসার সময় প্রিমিয়াম মুরগির সমান দামে পাওয়া যাবে।