প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে অপসারণ

36

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের পদ থেকে তুরিন আফরোজকে অপসারণ করেছে সরকার। অপসারণের আদেশ সম্বলিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে তুরিন আফরোজকে ‘শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচরণের’ দায়ে অপসারণ করা হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার এই প্রজ্ঞাপন জারী করে। প্রজ্ঞাপনে অভিযোগের বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, তুরিন আফরোজকে যে মামলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো, তিনি সেই মামলার আসামির সাথে গোপনে সাক্ষাৎ করে পেশাগত অসদাচরণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের পরিচয় দিয়েছেন। আসামির সাথে তিনি মামলার মেরিট নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর বাইরেও অনেক বিষয়ে তারা কথা বলেছেন, যার অডিও-ভিডিও পর্যালোচনা করে তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তুরিন আফরোজ বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি তার বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরবেন। তিনি বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গ বা পেশাগত অসদাচরণ হয় এমন কিছু তিনি করেননি। সিদ্ধান্তটি মন্ত্রণালয়ের। এ বিষয়ে কোনো তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি। আমাকেও ডাকা হয়নি এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি।
এই আইনজীবী আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ সেটা জানিয়ে এবং তা নিয়ে এ পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা চাওয়া হয়নি তার কাছে। খবর বিবিসি বাংলার
উল্লেখ্য, তুরিন আফরোজ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন গত বছর। ওই বছরের মে মাসে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার একজন আসামীর সঙ্গে বৈঠকের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে প্রথমে প্রসিকিউটরের পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিলো।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু তখন জানিয়েছেন, তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ওঠার পর সেটির তদন্ত চলছে, তাই আপাতত তাকে মামলা পরিচালনা না করার জন্য বলা হয়েছে আর মামলার সব নথিপত্র প্রসিকিউশনে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।