প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বিতরণ নয়, যান চলাচল রোধেও কড়াকড়ি

43

চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আরো কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। এবার ত্রাণ বিতরণ শৃঙ্খলা ফেরানো এবং যান চলাচল রোধে আরো কড়াকড়ি বাড়াতে তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে। গ্রামেগঞ্জে মাইকিং করে গাড়ি চলাচল বন্ধ ও মানুষকে ঘরে থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সিটি এলাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া মানুষদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সামর্থ্য অনুযায়ী জরিমানা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ১০টি টিমও মাঠে আছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর দশটি টিম ও আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক মাঠে আছে। অনেকেই ত্রাণ পেলেও পায়নি বলে অভিযোগ করছে। ত্রাণ পেয়েও মিথ্যা কথা বলছে। এজন্য ত্রাণ বিতরণে আমরা আরো শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছি। বিত্তশালীরা যে ত্রাণ দিচ্ছে এগুলো সমন্বয় হওয়া উচিত। তারা যদি আমাদের সাথে সমন্বয় করতে পারে সেক্ষেত্রে আমরা পরামর্শ দিতে পারি। তারা কোথায় দিচ্ছে সেগুলো আমাদের জানা উচিত।’
জানা যায়, গতকাল দিনভর বিভিন্ন উপজেলায় মানুষ যাতে ঘর থেকে বের না হয় সেজন্য মাইকিং করা হয়েছে। একইসাথে ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা ফেরাতেও প্রশাসন তৎপর হয়েছে। সরকারি ত্রাণের তালিকায় যারা আছে তারা যেন পুনরায় ত্রাণ না পায় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী পথেঘাটে ঘুরঘুর করা মানুষকে ঘরে ফিরতে বাধ্য করছে।
সূত্র জানায়, আজ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য থেকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির ধারণা পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সবকিছুতেই প্রশাসন আরো কড়াকড়ি আরোপ করার নির্দেশনা দিবে। এরমধ্যে ত্রাণ বিতরণ, যান চলাচল রোধ ও মানুষের ঘোরাফেরা বন্ধে কঠোরতা অবলম্বন করবে প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমরা বারেবারে বলেই আসছি যারা ত্রাণ বিতরণ করবে তারা জেলা প্রশাসনকে জানাবে। আমাদের সাথে কিছু এনজিও যোগাযোগ করেছে তাদের বলেছি আমাদের কাউন্সিলর মেম্বারদের তালিকা দেখে সেগুলো যেন ওভারলেপিং না হয়। সমন্বয় করতে হবে। এখন যেভাবে ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে এক লোক দুইবারও ত্রাণ পাচ্ছে।’
হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘এ সময়টাতে সবার জন্য ত্রাণ প্রয়োজন। সরকারের যে ত্রাণ তার সাথে পাবলিকেরটা যোগ না হলে সম্ভব না। এখন তালিকা ধরে সরকারের পক্ষে যা আসবে এবং স্থানীয়ভাবে যা পাবো সমন্বয় করবো।’