প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ‘বিশ্ববন্ধু’ শেখ মুজিব ও আস্থার অবিচল ঠিকানার ‘স্বরূপ সন্ধান’

176

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ পেয়েছে স্বাধীন ভূখন্ড, বিশ্বমঞ্চে নিজস্ব পরিচয় আর পতাকা। কিন্তু বাঙালির এ অবিসংবাদিত নেতার শীর্ষে উঠে আসার পথটি মোটেও বন্ধুর ছিল না। ছাত্রজীবন থেকে ধারাবাহিক সংগ্রাম করে একসময় নিপীড়িত জাতির নেতৃত্বে আসেন, হয়ে উঠেন বাঙালির অকৃত্রিম বন্ধু তথা ‘বঙ্গবন্ধু’। বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানি শত্রূদের হাত থেকে মুক্ত করে ‘বিপথগামী নরপশু’ ঘাতকদের বুলেটে বিদ্ধ হওয়ার আগেই বাঙালির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন ‘বিশ্ববন্ধু’।
জাতির পিতার ব্যক্তিজীবনের হাজারো ইতিহাসের মাঝে ‘বিশ্ববন্ধু’ হয়ে উঠার প্রসঙ্গটিও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সেই তাৎপর্যেরই স্বরূপ উন্মোচন করেছেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী, লেখক-গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এবার অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর বই ‘বাঙালির বঙ্গবন্ধু, বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে লেখক চমৎকার সব তথ্য উপাত্ত দিয়ে বিশ্লেষণ করে জাতির পিতার বিশ্ববন্ধু হয়ে উঠার অন্য এক ইতিহাস তুলে ধরেছেন পাঠকের সামনে।
অন্যদিকে জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন-অগ্রগতির সর্বোচ্চ ধারায় উঠেছে। জাতির প্রতি মমত্ববোধ, একনিষ্ঠতায় ‘দেশরত্ন’ হিসেবে উপাধি পাওয়া শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেত্বত্বের কারণে জাতির কাছে তিনি আজ আস্থার অবিচল ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার এই যাপিত জীবনের নানা কর্মকান্ড আর যোগ্যতার স্বরূপও উন্মোচন করেছেন ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
এবার একুশে বইমেলায় প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা, আস্থার অবিচল ঠিকানা’ নামেও একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে লেখক ইফতেখার উদ্দিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিজীবনের নানা দিক, যোগ্যতার প্রকাশ এবং নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পর্ক বিশদ বিবরণ পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন।
‘বাঙালির বঙ্গবন্ধু, বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব’ বইয়ে ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর বিশ্ববন্ধু হয়ে উঠার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে : ‘১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রূয়ারি ঢাকার রেসকোর্স তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত প্রায় দশ লাখ ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর নিরলস পরিশ্রম, মেধা, সাহসিকতায় দৃশ্যমান অর্জনকে সম্মানিত করতে ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্বশান্তি পরিষদের সম্মেলনে তাকে আন্তর্জাতিক বিশ্বনেতার স্বীকৃতি স্বরূপ ‘জুলিওকুরি শান্তি পদকে’ ভূষিত করা হয়। চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে প্রাপ্ত এই বিরল সম্মান বঙ্গবন্ধুর আগে অর্জন করেছিলেন কিউবার ফিদেল ক্যাস্ট্রো, চিলির সার্ভে আলেন্দে, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, ভিয়েতনামের হো চি মিন, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, ভারতের মুলকরাজ আনন্দ ও ইন্দিরা গান্ধী। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রায় সব সংস্থাই বিগত আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধুর স্মরণসভায় বঙ্গবন্ধুকে ‘বিশ্ববন্ধু’ হিসেবে সম্বোধন করেছেন।’
বইটিতে ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর ১৬টি নিবন্ধ স্থান পেয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে অন্বেষা প্রকাশন।
‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা, আস্থার অবিচল ঠিকানা’ গ্রন্থে লেখক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী লিখেছেন, ‘নেত্রীর অসাধারণ এক সম্মোহনী ব্যক্তিত্বের নবতর প্রকাশ দেশের জনগণ শ্রদ্ধাভরে অবলোকন এবং ভালোবাসা-কৃতজ্ঞতায় অবনত চিত্তে অপরূপ আনন্দে উপভোগ করছেন। নিষিদ্ধ বিনোদন, মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং অপরাজনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আপনঘর থেকেই অভিনব অভিযাত্রা শুরু করেছেন। দেশের সকল সচেতন ও সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও আকাশচুম্বী প্রশংসায় নেত্রী নতুন করে অভিষিক্ত হয়েছেন। সম্ভাষিত নতুন পালক যেন অবিনাশী মুকুটে সুসজ্জিত করেছে বঙ্গবন্ধুকন্যার অগ্রযাত্রাকে। কাজেই শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বনন্দিত ও বরেণ্য সফল এই রাষ্ট্রনায়ককে অনুসরণ ও অনুকরণ করছে বিশ্বনেতৃত্ব।’
বইটিতে ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর ২০টি নিবন্ধ স্থান পেয়েছে। বইটি প্রসঙ্গে ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জনকের মতো নিখাদ দেশপ্রেম, সততা, সত্যবাদিতা, নির্ভীক সাহসিকতা, মেধার উৎকর্ষতা, মননশীল-সৃজনশীল-প্রাজ্ঞসর জ্ঞানগরিমায় ঋদ্ধ দৃঢ়চেতা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় ব্রত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষে তার যে কর্মপ্রচেষ্টা, উদ্যোগ এবং তার যে যোগ্যতম নেতৃত্ব সেসব প্রসঙ্গ বইটিতে স্থান পেয়েছে। আশা করছি বইগুলো পাঠকদের ভালো লাগবে।’
বইটি প্রকাশ করেছে শ্রাবণ প্রকাশনী