প্রধানমন্ত্রীর মহতি উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে

42

চন্দনাইশ কাঞ্চননগর লট-এলাহাবাদ এলাকায় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ৪০ পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার ভিন্ন জেলার বরাদ্দ পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্থের বিনিময়ে বরাদ্দ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বসবাসকারীরা। ফলে প্রধানমন্ত্রীর মহতি উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর লট-এলাহাবাদ এলাকায় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ৪০টি পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার ভিন্ন জেলার বলে জানা যায়। এদের মধ্যে বরিশাল মনপুরা এলাকার আমেনা বেগম ৩৬নং এবং তার মেয়ে ফাতেমা বেগম ৩৮নং ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। ৪০ পরিবার ঘর বরাদ্দ পেলেও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা না থাকায় বর্তমানে ১৮টি মত পরিবার বসবাস করে।
বসবাসকারীরা জানালেন, আশ্রয়ণ এলাকায় ২টি গভীর নলকুপ থাকলেও ১টি নষ্ট। খননকৃত পুকুরে পানি নেই, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নেই, নামাজ আদায় করার স্থান নেই। তাছাড়া এ এলাকায় বসবাসকারীদের বাজারের জন্য পায়ে হেঁটে ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রওশন হাট বা বাদামতল যেতে হয়। এ এলাকায় শ্রমজীবী মানুষের কোন রকম কর্মসংস্থান না থাকায় অনেক দুরে গিয়ে কাজের সন্ধান করতে হয়। এ এলাকায় সাপ, বিভিন্ন ধরণের বিষাক্ত পোকা, রাতের বেলায় শৃখাল ও চিতা বাঘের আক্রান্তের শিকার হতে হয়। গত সপ্তাহে চিতা বাঘের শিকার হয়েছে ৪টি গৃহপালিত ছাগল ও বেশ কয়েকটি মুরগী।
আশ্রয়ণ কেন্দ্রের অবস্থানকারীদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছা শর্তে অভিযোগ করে বলেছেন, স্থানীয় কিছু জন প্রতিনিধি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের ঘর পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাছাড়া চন্দনাইশ পৌর এলাকার নয়াহাট সংলগ্ন লিটন এক অসহায় মহিলা থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। একইভাবে আরো কয়েকজন থেকে ভিন্ন পরিমাণে অর্থের বিনিময়ে ঘর পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারিভাবে ১ টাকার রশিদ দিয়ে প্রতিটি পরিবার থেকে ১ হাজার ৫’শ টাকা করে নিয়েছেন চন্দনাইশ ভূমি অফিসের নাজির শ্যামল। এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিবেদিতা চাকমা বলেছেন, ঘর পাওয়া লোকদের কাগজপত্র না থাকায় এবং দলিল তৈরি করতে খরচ বাবদ ৫/৬’শ টাকা খরচ হয়েছে। সে হিসেবে কিছু টাকা নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান টাকা নিয়ে ঘর বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। একইভাবে চন্দনাইশ পৌরসভার জনৈক লিটনও টাকা নিয়ে ঘর বরাদ্দ পাইয়ে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। উল্লেখ্য যে, গত ৪ দিন ধরে আশ্রয়ণ কেন্দ্র এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আজকালের মধ্যে ৪০টি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ঘরে ঘরে ওয়ারিং করে দেয়ার কথা বলেছেন পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম।