প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির কীর্তিমান স্মরণ

8

পটিয়ার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে পটিয়ার দুই কীর্তিমান বীরকন্যা প্রীতিলতা ও মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের কর্ম ও কীর্তিগাথা নিয়ে গত শনিবার বিকাল ৪টায় “কীর্তিমান স্মরণে” অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আয়োজনের মধ্যে ছিল রচনা প্রতিযোগিতা, তাদের কর্ম ও জীবন নিয়ে আলোচনা, পুরষ্কার বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বীরকন্যা প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত কীর্তিমান স্মরণ অনুষ্ঠানে আলোচনা ও কথামালায় অংশ নেন নাট্যকার ও সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, কবি ও কলামিস্ট কামরুল হাসান বাদল, দৈনিক প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক কবি ওমর কায়সার, সাহিত্য বিশারদ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের সভাপতি পংকজ চক্রবর্তী, সাহিত্য বিশারদের দৌহিত্র জাহেদ উল আলম পাশা, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রোকন উদ্দিন, শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রবোদ রায় চন্দন, প্রত্যয়ের সমন্বয়ক এমরান হোসেন রাসেল, সিনিয়র সদস্য আবদুল আল মোমেন। একাডেমির সিনিয়র সদস্য শিবু মল্লিকের সঞ্চালনায় ও নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির নির্বাহী সদস্য বিশ্বজিৎ দাশ। প্রদীপ দেওয়ানজি বলেন, বীরকন্যা প্রীতিলতা ও মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ক্ষণজন্মা কীর্তিমান। তাদের অবদান দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত। পটিয়ার মেয়ে বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে বিসর্জন দিয়ে প্রমাণ করেছেন দেশপ্রেমের উর্ধ্বে কিছু নাই। দেশের মুক্তি সংগ্রাম ও দেশ গড়ার কাজে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকা চলবেনা। পটিয়ার আরেক কৃতি সন্তান আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ আড়াই সহগ্রাধিক পুঁথির পাÐুলিপি সংগ্রহ করেন এবং ছয় শতাধিক গবেষণামূলক মেীলিক প্রবন্ধ রচনা করেন। কবি কামরুল হাসান বাদল বলেন, বীরকন্যা প্রীতিলতার দেশপ্রেমিক বর্তমান সমাজে বিরল। বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত পুঁথি গবেষক ও সংগ্রাহক মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের হাত ধরেই বাংলার পুঁথি সাহিত্য নবজীবন লাভ করে। কবি ওমর কায়সার বলেন, অত্যন্ত মেধাবী ও বিচক্ষণ প্রীতিলতা ছাত্রাবস্থাতেই বিপ্লবী রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনিই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম মহিলা শহীদ হিসেবে খ্যাত।
বক্তারা সকলেই আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ও বীরকন্যা প্রীতিলতার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান। পরে অতিথিরা রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১৮ জন প্রতিযোগীকে পুরষ্কার প্রদান করেন। সেই সাথে অংশগ্রহণকারী সবাইকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। ১০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয় ১ বছরের শিক্ষা উপকরণ। অনুষ্ঠানে প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের শিক্ষার্থীরা দলীয় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। বিজ্ঞপ্তি