প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

14

হাটহাজারীতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মুসা সওদাগর (৭৭) নামে এক ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কের বড়দীঘির পাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন ভোরে মুছা সওদাগর ফজরের নামাজ শেষে করে আমান বাজার থেকে বড়দিঘিরপাড় হয়ে সুলতান নশরত শাহ মসজিদের সামনে রাস্তা পার হওয়ার হচ্ছিলেন। এ সময় চট্টগ্রামুখি একটি মিনিবাস তাকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ২০ ফুট দূরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।
নগরীর টেরিবাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মুসা উপজেলার উত্তর মাদার্শার বদিউল আলমের হাট আলী মেম্বরের বাড়ির মৃত সোনা মিয়ার পুত্র। তার গ্রামের বাড়ি উত্তর মাদার্শা হলেও তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে আমানবাজার এলাকায় ভাড়াবাসায় বাস করতেন।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে সড়কের উভয় পাশে যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। জনতা দায়ী বাসটি আটকে রাখলেও চালক ও সহযোগী পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব শর্মা ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে দুই ঘণ্টা পর জনতা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি বাস মিনিবাস মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান জানান, নাজিরহাট থেকে পোশাককর্মীদের নিয়ে বাসটি চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে একটি সিএনজি অটোরিকশার সাথে ধাক্কা লাগলে একজন পথচারী বাসের নিচে চাপা পড়েন। এ সময় বাসে থাকা দুইজন পোশাককর্মীও আহত হন।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, বাসচাপায় পথচারী নিহতের ঘটনায় জনতা জড়ো হলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, তিন দিন আগে একই এলাকায় দিদারুল আলম বুলু নামে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও গতিরোধক স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন স্থানীয় জনতা।