প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য জামালের

28

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হবে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়ে শেষ চারে ওঠা চট্টগ্রাম আবাহনী ও ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ গোকুলাম।
অগ্নিপরীক্ষায় নামার আগে গতকাল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে বন্দর মাঠে অনুশীলন করে কোচ মারুফুল হকের দল। অনুশীলন শুরুর আগে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোন কৌশল অবলম্বন করতে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম আবাহনী তাই জানালেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, তিনি জানালেন ‘বাঁচা-মরার’ লড়াইয়ে জেতাই একমাত্র লক্ষ্য তার।
“আগামীকাল (আজ) বড় ম্যাচ। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কোচও বলেছেন আমাদের একটাই লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আগামীকাল (আজ) আমাদের বাঁচা-মরার ম্যাচ। শতভাগেরও বেশি দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত।” ‘গোকুলামের বিদেশি খেলোয়াড় অনেক ভালো। নাথানিয়েল গার্সিয়া-হেনরি কিসেকা অনেক ভালো। ওরা বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়নদের ৩টা গোল দিয়েছে। ওরা বিপজ্জনক দল; বিশেষ করে ওদের আক্রমণভাগ। এটা নিয়ে আজকে আমরা কোচের সঙ্গে কাজ করেছি।’
‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি চাই আমার দলের জয়। ভারতের আরেকটি দল এখন আমাদের প্রতিপক্ষ, তাদের হারাতে চাই। যদি মালয়েশিয়ান প্রতিপক্ষও হতো, একই চাওয়া থাকত।’ ‘কোন দেশ বা দল প্রতিপক্ষ, আমি সেটা নিয়ে ভাবি না। তারা স্রেফ আমার প্রতিপক্ষ, আমার শত্রু এবং আমি তাদেরকে বিদায় করে দিতে চাই, ধসিয়ে দিতে চাই। বিষয়গুলো আমি এভাবেই ভাবি।’ মোহনবাগানের কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচে বদলি নেমেছিলেন জামাল। পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়ে বেশ উজ্জীবিত অনুভব করার কথাও জানালেন ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
‘আমি মনে করি , টাইট ম্যাচ হবে। তবে আমরা হোম গ্রাউন্ডে খেলব। গ্যালারিতে আমাদের সমর্থক থাকবে। আমরা এগিয়ে থাকব। কোচ বিশ্রাম দিয়েছিলেন। ভালো রিকভারি হয়েছে। এখন আমার খেলতে সমস্যা নেই- শতভাগ দেওয়ার মতো অবস্থায় আছি।’
এদিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফুলও জানালেন প্রতিপক্ষের বিদেশিদের নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা থাকার কথা। ‘অবশ্যই ওরা অনেক গোছালো দল। ওদের তিনটা বিভাগেই ভালো মানের খেলোয়াড় আছে। খেলাটা তারা তাদের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার মানে এই নয় যে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের হারানো যাবে না।’
“আমার দলও (চট্টগ্রাম আবাহনী) শুরুর দুই ম্যাচে ভালো করেছে। সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত (অনেকটা) হয়ে যাওয়ায় তৃতীয় ম্যাচে আমাদের পরিকল্পনা অন্যরকম ছিল। যদি পরিকল্পনা আগের মতোই থাকত, তাহলে তৃতীয় ম্যাচে আমরা আরও উন্নতি করতে পারতাম। আমি আশাবাদী, গোকুলামকে হারানো সম্ভব।”