প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হলেন ট্রাম্প

15

তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে এ অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়। পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত অভিশংসনের জন্য দেশটির উচ্চকক্ষ সিনেটে প্রস্তাব উঠবে। সেখানে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে অভিশংসিত হলে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হবে ট্রাম্পকে। তবে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
স¤প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে। তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তদন্ত শুরু করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। ১৩ ডিসেম্বর পরিষদের হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটিতে অভিযোগের ওপর ভোটগ্রহণ করা হলে ২৩-১৭ ভোটে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসন করতে যে পরিমাণ ভোট প্রয়োজন, হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে প্রথম দুই অভিযোগের ভোট গণনায় ঐ পরিমাণ ভোট পড়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের চেয়ারের অনুমোদন দেওয়ার পর। জানা যায়, পরিষদে ২২৯ জন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে, ১৯৭ রিপাবলিক প্রতিনিধি ট্রাম্পের অভিশংসনের বিপক্ষে ভোট দেন। তার বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগের ক্ষেত্রেই অভিশংসনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পড়েছে প্রতিনিধি পরিষদে। প্রথম অভিযোগের ক্ষেত্রে ২৩০ ভোট পড়েছে অভিশংসনের পক্ষে এবং ১৯৭ ভোট পড়েছে বিপক্ষে। দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ২১৬ ভোটের বেশি সংখ্যক ভোট পড়েছে। ঐ অভিযোগে অভিশংসনের পক্ষে পড়েছে ২২৯ ভোট ও বিপক্ষে ১৯৮ ভোট।
এখন উচ্চকক্ষ সিনেটে ট্রাম্পের বিচার হবে। তবে সিনেটে যেহেতু রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত তাই সেখানে এটি পাস হবার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। আগামী জানুয়ারি মাসে সিনেটের বিচার অনুষ্ঠিত হবে।