প্রতিক্রিয়ায় মোশাররফ মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র

157

‘বাঁশখালীতে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি’- সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এমন মন্তব্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতি অবমাননা বলেই মনে করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে সাব-সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
গতকাল দৈনিক পূর্বদেশকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি পুরোপুরি জানি না। তিনি যদি মুক্তিযুদ্ধ হয়নি বলে থাকেন, তাহলে অবশ্যই অন্যায় করেছেন। পত্রিকায় যেগুলো পড়ছি, সেগুলো বলা মানেই মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতি অবমাননা। আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এভাবে মন্তব্য করা তার মোটেই উচিত হয়নি। এখন তার বিরুদ্ধে কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নিবে, তাই হবে।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী ছৈয়দের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা ডা. আশরাফ আলী গত ২৬ জুলাই মারা যান। একজন মুক্তিযোদ্ধা হলেও তাঁকে গার্ড অব অনার না দেয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ হন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ অসম্মানের কারণ হিসেবে এমপিকেই দুষছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফের পরিবার। ঘটনার পরদিন গণমাধ্যমে ‘বাঁশখালীতে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি’ বলে মন্তব্য করে ‘আগুনে ঘি ঢালেন’ এমপি নিজেই। এমন মন্তব্যের পর এমপির বিরুদ্ধে মাঠে নামেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। এর প্রতিবাদে গত ৩ আগস্ট বাঁশখালীর পুঁইছড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্দন কর্মসূচি পালন করলে সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই এমপি অনুসারীরা দা-কিরিচ নিয়ে হামলা চালায়। মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার না দেয়া নিয়ে এমপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় সাংবাদিক ফারুক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এক যুবলীগ কর্মী মামলা করেন। এজাহারে এমপির নির্দেশেই মামলাটি করা হয়েছে বলে তুলে ধরা হয়।
সবশেষ গত ২৪ আগস্ট চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমপির মন্তব্যের প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় হামলার ঘটনায় আবারো বিতর্কে জড়ান সংসদ সদস্য।
এ ঘটনার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। আন্দোলন থেকে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে সংসদ সদস্য পদ থেকে অপসারণসহ দলীয় সকল পদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে আসছে নেতৃবৃন্দ।