প্রক্সি দিতে এসে ঢাবি-জাবির দুই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

45

লাখ টাকার চুক্তিতে অন্য পরীক্ষার্থীর হয়ে পুলিশের এসআই নিয়োগের পরীক্ষা দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী। নগরীর দামপাড়ায় সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ওমরগণি এমইএস কলেজে পরীক্ষার হল থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দু’জন হলো- মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন (২৭) এবং মো. শাহ আলম (২৬)। এদের মধ্যে জাহিদকে সোমবার এবং শাহ আলমকে রবিবার আটক করেছে নগরীর খুলশী থানা পুলিশ।
খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানিয়েছেন, জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছে। ঢাবি’র জসীম উদ্দিন হলের ৩৩২ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র জাহিদ। আর শাহ আলম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।
গত রবিবার থেকে তিনদিনের পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিয়োগের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রথমদিনে দামপাড়া পুলিশ লাইনের ভেতরে সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজে মো. নাঈম উদ্দিন হোসেন (২৭) নামে একজনের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল শাহ আলম। হল পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান টিটু’র সন্দেহ হলে পরিচয়পত্রের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, সোমবার ওমরগণি এমইএস কলেজে মো. ছালেহ্ উদ্দিন নামে এক পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষায় বসেছিল জাহিদ। প্রথমদিন নকল পরীক্ষার্থী আটকের পর দ্বিতীয়দিন সতর্ক অবস্থায় ছিলেন দায়িত্বরতরা। একইভাবে পরিচয়পত্র মেলাতে গিয়ে জাহিদও ধরা পড়ে যায়। পরে তাকেও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, শাহ আলমের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। সে বাঁশখালী উপজেলার আবু আহমেদের ছেলে নাঈম উদ্দিন হোসেনের সঙ্গে ২০ হাজার টাকার মৌখিক চুক্তি করেছিল। পরীক্ষা শেষ হলে নাঈম শাহ আলমকে এই টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
অন্যদিকে, জাহিদ হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। সে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আসল পরীক্ষার্থী ছালেহ উদ্দিনের কাছ থেকে অগ্রিম এক লাখ টাকা নিয়েছিল। সজীব নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক ছেলে জাহিদ ও ছালেহ উদ্দিনের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে দেন। এরপর তিনজন মিলেই এই পরিকল্পনা করে।
এসব ঘটনায় শাহ আলম ও নাঈম উদ্দিন এবং জাহিদ, ছালেহ ও সজীবের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।