পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা

61

আসন্ন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। ভোটের আমেজ নেয় ভোটারদের কাছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পোস্টার-ব্যানার আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে লাগানো হলেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। গত ১৭ মার্চ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নির্বাচনী এলাকার দৃষ্টি আকর্ষণীয় স্থানে পোস্টার-ব্যানার টাঙ্গিয়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে উপজেলা নির্বাচনের ৮ জন প্রার্থী। ২ চেয়ারম্যান, ২ ভাইস-চেয়ারম্যান, ৪ মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান তাদের প্রতীক সম্বলিত পোস্টার-ব্যানার গ্রামের অলি-গলিতে সাঁটিয়েছেন। বেশ কিছু প্রার্থী আচারণ বিধি লঙ্ঘন করে যানবাহনে পোস্টার লাগালেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে অহরহ ব্যানার-পোস্টার সাঁটিয়ে

ভোটারদের নজর কারার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। এ সকল প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ.কে.এম নাজিম উদ্দীন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী (দোয়াত-কলম), ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী (মোমবাতি), মো. মঈন উদ্দীন (তালা), মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনাজ বেগম (হাঁস), খালেদা আকতার চৌধুরী (পদ্মফুল), এড. কামেলা খানম (প্রজাপতি) ও সঞ্চিতা বড়–য়া (কলস) প্রতীকের পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি অলি-গলি। পাশাপাশি প্রার্থীরা দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইক নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিজয় লাভের জন্য ভোটারদের ঘরে ঘরে ছুটছেন এ সকল প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করার জন্য কেউ কেউ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পথসভা, উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার দেখা গেলেও অধিকাংশ জায়গায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরীর পোস্টার-ব্যানারের সংখ্যা কম। তবে ৩টি ইউনিয়নে কি এক অজানা কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার বেশী থাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, ততই আ’লীগ নেতা-কর্মীদের সন্দেহের তীর নিক্ষেপ হচ্ছে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের দিকে। নির্বাচনের তফশীল ঘোষনার পর আ’লীগ পরপর ২টি সভা আহবা ন করেন। এ সকল সভায় পদ-পদবীধারী নেতা-কর্মীদের অনেকেই উপস্থিত না থাকায় সন্দেহ ঘনিভূত হচ্ছে। ফলে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার লক্ষ্যে কার্যকরী পরিষদের সভা আহবান করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেছেন, যে যাই করুক, কেউ নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যে সকল নেতা-কর্মী ইতোমধ্যে সভায় আসেন নাই, তারা কার্যকরী পরিষদের সভায় উপস্থিত হয়ে তাদের অবস্থান নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করবেন। আগামী ২৪ মার্চ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার প্রার্থী এ.কে.এম নাজিম উদ্দীনই ইন্শাল্লাহ জয়লাভ করবেন। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো ১ সপ্তাহ।