পোশাক শিল্পের চালানে ঘোষণা ছাড়া পণ্য

36

তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিন পার্টস, জিপার ও বাটনের চালানে এসেছে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা চালানটির কায়িক পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
এআইআর শাখার দায়িত্বে থাকা উপ কমিশনার মো. নূর উদ্দিন মিলন জানান, ঢাকার তেজগাঁওয়ের সৈয়দনগরের শিমু ট্রেডিং হাউসের নামে হংকং থেকে সমুদ্রপথে গত ২২ মে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এ চালান আমদানির জন্য এলসি খোলা হয় যমুনা ব্যাংক লিমিটেড মতিঝিল রাজউক এভিনিউ শাখায়।
বিল অব লেডিং (বিএল) অনুসারে ঘোষিত পণ্য ছিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সুইং মেশিন স্পেয়ার পার্টস, জিপার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্টিম আয়রন উইথ অ্যাক্সেসরিজ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাটন। এসব পণ্যর কর হার অত্যন্ত কম। কিন্তু কাস্টম হাউসের কাছে গোপন সংবাদ থাকায় চালানটি সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমদানিকারক চালানটি খালাসের জন্য কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি। সর্বশেষ গতকাল বুধবার এআইআর শাখার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ফোর্স কিপ ডাউনের মাধ্যমে চালানটির কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর এআইআর শাখার সন্দেহ সঠিক প্রমাণিত হয়।
কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া গেছে ৮৩ হাজার ৫০০ পিস স্কার্ফ, ১ লাখ পিস ইনসুলিন সিরিঞ্জ, ৩৭৯ জোড়া জুতা, ৩ পিস সাইকেল, ১১৩ পিস লেডিস ব্যাগ, ৪০ পিস ঘড়ি, ১০ দশমিক ৮ লিটার শ্যাম্পু, ৩ লিটার ফেস ওয়াশ এবং ২ সেট এয়ার কন্ডিশনার। এসব পণ্যের শুল্ক আসে অর্ধ কোটি টাকা।
নূর উদ্দিন মিলন বলেন, চোরাচালান, মিথ্যা ঘোষণা ও শুল্ক ফাঁকি রোধে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা নিরলস কাজ করছেন।