পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

9

মহা সমারোহে পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মুজিব শতবর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন। শুক্রবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুই বছরের এ মহোৎসবের পর্দা নামল। অনুষ্ঠানে এক্সট্রা কারিকুলাম একটেভিটির জন্য ২৩ কে বিশেষ বৃত্তি প্রদান করা হয়। বাঙালির হাজার বছরের শৌর্য বীর্য এবং বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন বিজয় দিবস। এই বিজয়ের সফল রূপকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিকামী মানুষের অপরাজেয় চেতনা কে বুকে ধারণ করে তিনি হয়ে ওঠেন মুক্তি সংগ্রামের আরাধ্য মহানায়ক। তাই তো তিনি বাঙালির জাতির পিতা। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্থপতি। চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও পালন করে মুজিব শতবর্ষের নানান কর্মসূচি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমের দিকনির্দেশনায় ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিববর্ষের ক্ষণ গণনার উদ্বোধন হয়। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালনের মহাযাত্রা। ক্ষণ গণনার জন্য একটি ডিজিটাল ঘড়িও স্থাপিত হয় ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এডভাইজার এবং বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. মুজিবুর রহমান বলেন, বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে আমরা পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। গত আট বছরে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটি আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভবিষ্যতেও এই বিশ্ববিদ্যালয় মানসম্মত শিক্ষার চর্চা বজায় রাখবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ^জুড়ে অর্থনৈতিক ও উৎপাদনখাতে যে ব্যাপক রূপান্তর চলমান তা মোকাবিলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন বলেন, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ, যাতে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগ্রাম করে এই দেশটির স্বাধীনতা এনেছি। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরল আনোয়ার বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ বিশ্বের ইতিহাসের এক বিস্ময়কর ঘটনা। এ ঐতিহাসিক ক্ষণ উদযাপনে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: ওবায়দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন থেকে সংগ্রামের শিক্ষা আছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এহসানুল হক রিজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মফজল আহমেদ, বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফসিউল আলম, কলা সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইউনুস, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব মো: সেলিম হোসেন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিজ্ঞপ্তি