পেশাগত জীবনকে সমৃদ্ধ করতে প্রফেশনাল বিবিএ

355

এইচএসসি পাশ করার পরই ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সঠিক সময়। তখন অনেকেই ভাবেন কী বিষয় পড়বেন, কোথায় ভর্তি হবেন কিংবা কোন বিষয়টি তার যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত হবে। তাই এসময় অনেকেই নিজের পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী বিষয় বা কোর্স বেছে নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যান। এমন অবস্থায় যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক কোর্সটি যিনি বেছে নিতে পারেন তার পক্ষেই ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করা সহজ হয়ে উঠবে। তিনি জীবনে এগিয়ে যেতে পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তাই এইচএসসি পাশ করার পর আপনি বেছে নিতে পারেন অনার্স (প্রফেশনাল) কোর্স। এ বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নিতে পারলে জীবনকে নিয়ে যেতে পারবেন সঠিক লক্ষ্যে। অনার্স (প্রফেশনাল) কোর্সটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো।
অনার্স(প্রফেশনাল)-এর সাথে অনার্স ও ডিগ্রি কোর্সের আবেদনের কোনো সম্পর্ক নেই। অনার্স ও ডিগ্রি এবং প্রফেশনাল সবগুলোই আলাদা আলাদা কোর্স। কোনোটির সাথে কোনোটির সম্পর্ক নেই। আপনি অনার্সে আবেদন করেছেন বলে এগুলোতে আবেদন করতে পারবেন না ব্যাপারটি এরকম নয়। তবে একসাথে দু’টি কোর্সে ভর্তি হওয়া যাবে না কারণ অনার্স (প্রফেশনাল) কোর্স ও অনার্স দুটোই সমমান। কোর্স শেষে সরাসরি বিসিএস ও সব ধরনের চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উল্লেখযোগ্য প্রফেশনাল কোর্সগুলো হলো বিবিএ (ব্যাচেলর অভ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন), সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইসিই (ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং), এফডিটি (ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি), কেএমটি (নিট ম্যানুফ্যাকচার এন্ড টেকনোলজি), এএমটি (এপারেল ম্যানুফ্যাকচার এন্ড টেকনোলজি)। এমবিএ (মাস্টার্স অভ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন), বিবিএ (প্রফেশনাল) কোর্সে যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো হলো ম্যানেজমেন্ট, একাউন্টিং, মার্কেটিং, ফিন্যান্স। এছাড়া আরো কোর্স রয়েছে যেগুলোর মধ্যে বিবিএ ও সিএসই অন্যতম। বিবিএ-তে বাণিজ্যের জন্য ৭০%, বিজ্ঞানের জন্য ১৫% ও মানবিকের জন্য ১৫% সিট বরাদ্দ থাকে। ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে আবেদন করতে পারবেন শুধু বিজ্ঞান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বাকি সকল কোর্সে আবেদন করতে পারবেন সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ ও প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল কোর্স করিয়ে থাকে। কোর্সগুলো হয়ে থাকে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সেমিস্টার হিসেবে। প্রতি বছরে থাকে ২টি করে সেমিস্টার। সেই হিসাবে ৪ বছরে ৮টি সেমিস্টার। প্রফেশনাল কোর্সগুলো হয়ে থাকে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে এবং বছরে ভর্তি করানো হয় একবার। প্রফেশনাল বিবিএ-তে আইবিএ(ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন) সিস্টেমে ও সিলেবাসে পড়ানো হয়। এতে ৪ বছর পর কোর্স শেষে ৩ মাস ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ আছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই কোর্সও স্বনামধন্য। কোর্সটি পুরোপুরি ইংরেজি মাধ্যমে হওয়াতে চাকরির ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করা হয় বেশি। এই কোর্স সম্পন্ন করার পর এক বছরের এমবিএ করতে হয়। ২০০০ সাল থেকে একমাত্র প্রফেশনাল কোর্সে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসারে কোনো সেশনজট নাই এবং নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না। কোর্সটি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সেক্টর বা অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের দেশে যে বিবিএ (প্রফেশনাল) কোর্সটি করানো হয় তা সমানভাবে পড়ানো হয় বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। বিবিএ কোর্সে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম ৪০টি কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। বাংলাদেশে দু’ধরনের বিবিএ কোর্স রয়েছে। একটি একাডেমিক ও অন্যটি প্রফেশনাল। সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক বিবিএ (অনার্স) পড়ানো হয়। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের আইবিএ-তে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল বিবিএ পড়ানো হয় যেখানে অনার্স শেষে ৩ মাসব্যাপী ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। ফলে চাকরিতে প্রবেশের আগেই অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হন তারা।
যারা প্রফেশনাল বিবিএ শেষ করেছেন অথবা করবেন তাদের একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো যে প্রফেশনাল বিবিএ কোর্স সম্পন্ন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মাধ্যম থেকে এমবিএ করবেন না কারণ ইংরেজি মাধ্যম অর্থাৎ প্রফেশনাল বিবিএ সম্পন্ন করে প্রফেশনাল এমবিএ করতে হবে। তা না হলে সার্টিফিকেটের মূল্য কমে যাবে। তবে ইচ্ছা করলে যেকোনো সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করা যাবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান হলো ইন্সটিটিউট অভ বিজনেস স্টাডিজ (আইবিএস)। নগরীর হালিশহরের বড়পোলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শরীফুল ইসলাম লিখন বলেন, ‘বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থীই বিবিএ পড়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এর কারণ হলো চাকরির ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে। তাই এইচএসসি পাশ করে যে সকল শিক্ষার্থী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না এবং বিপুল অর্থ খরচ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ার সামর্থ্য যাদের নেই তাদের জন্য স্বল্প খরচে এই বিবিএ কোর্সটি খুবই সময়োপযোগী।’ এ কোর্সের মাসিক ফি ৮শ’ টাকা হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও মানসম্পন্ন এ কোর্সটি সম্পন্ন করে নিজেদের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শরীফুল ইসলাম লিখন জানান, সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে আইবিএস প্রথম শ্রেণীর একটি প্রতিষ্ঠান। এর কলেজ কোড ৪৩৫৮। ইনস্টিটিউট অভ বিজনেস স্টাডিজ (আইবিএস)-এর পড়াশোনার মান, শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গী, শিক্ষার্থীদের ফলাফল ইত্যাদি কারণে ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেমিস্টারের ৩য়, ৮ম স্থান অধিকার সহ গড়ে ৩/৪টি স্থান সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান করে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ পর্যন্ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী এ প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বিবিএ ডিগ্রি সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, আইবিএস-এ ক্লাশ পরিচালিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা। তাদের আছে মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরিও। পাঠ মূল্যায়নের জন্য রয়েছে পাক্ষিক, মাসিক এবং ইন্টারনাল পরীক্ষার ব্যবস্থা। আইবিএস-এর প্রাক্তন কয়েকজন শিক্ষার্থীর মতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্তর্জাতিক মানের প্রফেশনাল কোর্সে হাতে-কলমে তারা যা শিখেছেন তা তাদের পেশাগত ও বাস্তব জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে।
ভর্তির যোগ্যতা ও খরচ : এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২ পেয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ৪ বছর মেয়াদী এই কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার নিয়ম : জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তির পৃষ্ঠায় (িি.িহঁ.বফঁ.নফ/ধফসরংংরড়হং) গেলে চারটি অপশন পাওয়া যাবে। ১) অনার্স, ২) প্রফেশনাল, ৩) ডিগ্রি পাশ, ৪) মাস্টার্স। প্রফেশনাল বিবিএ-তে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রফেশনাল-এ গিয়ে অঢ়ঢ়ষু হড়ি তে ক্লিক করে ফরম পূরণ করে প্রিন্ট কপি আইবিএস কলেজে জমা দিতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন ০৩১-২৫১৬৬০০, ০১৭১১৪২৪২৯৫ নম্বরে। এইচএসসি পাশ করার পরই ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সঠিক সময়। তখন অনেকেই ভাবেন কী বিষয় পড়বেন, কোথায় ভর্তি হবেন কিংবা কোন বিষয়টি তার যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত হবে। তাই এসময় অনেকেই নিজের পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী বিষয় বা কোর্স বেছে নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যান। এমন অবস্থায় যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক কোর্সটি যিনি বেছে নিতে পারেন তার পক্ষেই ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করা সহজ হয়ে উঠবে। তিনি জীবনে এগিয়ে যেতে পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তাই এইচএসসি পাশ করার পর আপনি বেছে নিতে পারেন অনার্স (প্রফেশনাল) কোর্স। এ বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নিতে পারলে জীবনকে নিয়ে যেতে পারবেন সঠিক লক্ষ্যে। অনার্স (প্রফেশনাল) কোর্সটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো।
অনার্স(প্রফেশনাল)-এর সাথে অনার্স ও ডিগ্রি কোর্সের আবেদনের কোনো সম্পর্ক নেই। অনার্স ও ডিগ্রি এবং প্রফেশনাল সবগুলোই আলাদা আলাদা কোর্স। কোনোটির সাথে কোনোটির সম্পর্ক নেই। আপনি অনার্সে আবেদন করেছেন বলে এগুলোতে আবেদন করতে পারবেন না ব্যাপারটি এরকম নয়। তবে একসাথে দু’টি কোর্সে ভর্তি হওয়া যাবে না কারণ অনার্স (প্রফেশনাল) কোর্স ও অনার্স দুটোই সমমান। কোর্স শেষে সরাসরি বিসিএস ও সব ধরনের চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উল্লেখযোগ্য প্রফেশনাল কোর্সগুলো হলো বিবিএ (ব্যাচেলর অভ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন), সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইসিই (ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং), এফডিটি (ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি), কেএমটি (নিট ম্যানুফ্যাকচার এন্ড টেকনোলজি), এএমটি (এপারেল ম্যানুফ্যাকচার এন্ড টেকনোলজি)। এমবিএ (মাস্টার্স অভ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন), বিবিএ (প্রফেশনাল) কোর্সে যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো হলো ম্যানেজমেন্ট, একাউন্টিং, মার্কেটিং, ফিন্যান্স। এছাড়া আরো কোর্স রয়েছে যেগুলোর মধ্যে বিবিএ ও সিএসই অন্যতম। বিবিএ-তে বাণিজ্যের জন্য ৭০%, বিজ্ঞানের জন্য ১৫% ও মানবিকের জন্য ১৫% সিট বরাদ্দ থাকে। ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে আবেদন করতে পারবেন শুধু বিজ্ঞান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বাকি সকল কোর্সে আবেদন করতে পারবেন সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ ও প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল কোর্স করিয়ে থাকে। কোর্সগুলো হয়ে থাকে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সেমিস্টার হিসেবে। প্রতি বছরে থাকে ২টি করে সেমিস্টার। সেই হিসাবে ৪ বছরে ৮টি সেমিস্টার। প্রফেশনাল কোর্সগুলো হয়ে থাকে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে এবং বছরে ভর্তি করানো হয় একবার। প্রফেশনাল বিবিএ-তে আইবিএ(ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন) সিস্টেমে ও সিলেবাসে পড়ানো হয়। এতে ৪ বছর পর কোর্স শেষে ৩ মাস ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ আছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই কোর্সও স্বনামধন্য। কোর্সটি পুরোপুরি ইংরেজি মাধ্যমে হওয়াতে চাকরির ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করা হয় বেশি। এই কোর্স সম্পন্ন করার পর এক বছরের এমবিএ করতে হয়। ২০০০ সাল থেকে একমাত্র প্রফেশনাল কোর্সে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসারে কোনো সেশনজট নাই এবং নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না। কোর্সটি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সেক্টর বা অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের দেশে যে বিবিএ (প্রফেশনাল) কোর্সটি করানো হয় তা সমানভাবে পড়ানো হয় বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। বিবিএ কোর্সে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম ৪০টি কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। বাংলাদেশে দু’ধরনের বিবিএ কোর্স রয়েছে। একটি একাডেমিক ও অন্যটি প্রফেশনাল। সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক বিবিএ (অনার্স) পড়ানো হয়। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের আইবিএ-তে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল বিবিএ পড়ানো হয় যেখানে অনার্স শেষে ৩ মাসব্যাপী ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। ফলে চাকরিতে প্রবেশের আগেই অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হন তারা।
যারা প্রফেশনাল বিবিএ শেষ করেছেন অথবা করবেন তাদের একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো যে প্রফেশনাল বিবিএ কোর্স সম্পন্ন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মাধ্যম থেকে এমবিএ করবেন না কারণ ইংরেজি মাধ্যম অর্থাৎ প্রফেশনাল বিবিএ সম্পন্ন করে প্রফেশনাল এমবিএ করতে হবে। তা না হলে সার্টিফিকেটের মূল্য কমে যাবে। তবে ইচ্ছা করলে যেকোনো সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করা যাবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান হলো ইন্সটিটিউট অভ বিজনেস স্টাডিজ (আইবিএস)। নগরীর হালিশহরের বড়পোলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শরীফুল ইসলাম লিখন বলেন, ‘বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থীই বিবিএ পড়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এর কারণ হলো চাকরির ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে। তাই এইচএসসি পাশ করে যে সকল শিক্ষার্থী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না এবং বিপুল অর্থ খরচ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ার সামর্থ্য যাদের নেই তাদের জন্য স্বল্প খরচে এই বিবিএ কোর্সটি খুবই সময়োপযোগী।’ এ কোর্সের মাসিক ফি ৮শ’ টাকা হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও মানসম্পন্ন এ কোর্সটি সম্পন্ন করে নিজেদের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শরীফুল ইসলাম লিখন জানান, সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে আইবিএস প্রথম শ্রেণীর একটি প্রতিষ্ঠান। এর কলেজ কোড ৪৩৫৮। ইনস্টিটিউট অভ বিজনেস স্টাডিজ (আইবিএস)-এর পড়াশোনার মান, শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গী, শিক্ষার্থীদের ফলাফল ইত্যাদি কারণে ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেমিস্টারের ৩য়, ৮ম স্থান অধিকার সহ গড়ে ৩/৪টি স্থান সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান করে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ পর্যন্ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী এ প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বিবিএ ডিগ্রি সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, আইবিএস-এ ক্লাশ পরিচালিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা। তাদের আছে মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরিও। পাঠ মূল্যায়নের জন্য রয়েছে পাক্ষিক, মাসিক এবং ইন্টারনাল পরীক্ষার ব্যবস্থা। আইবিএস-এর প্রাক্তন কয়েকজন শিক্ষার্থীর মতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্তর্জাতিক মানের প্রফেশনাল কোর্সে হাতে-কলমে তারা যা শিখেছেন তা তাদের পেশাগত ও বাস্তব জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে।
ভর্তির যোগ্যতা ও খরচ : এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২ পেয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ৪ বছর মেয়াদী এই কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার নিয়ম : জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তির পৃষ্ঠায় (িি.িহঁ.বফঁ.নফ/ধফসরংংরড়হং) গেলে চারটি অপশন পাওয়া যাবে। ১) অনার্স, ২) প্রফেশনাল, ৩) ডিগ্রি পাশ, ৪) মাস্টার্স। প্রফেশনাল বিবিএ-তে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রফেশনাল-এ গিয়ে অঢ়ঢ়ষু হড়ি তে ক্লিক করে ফরম পূরণ করে প্রিন্ট কপি আইবিএস কলেজে জমা দিতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন ০৩১-২৫১৬৬০০, ০১৭১১৪২৪২৯৫ নম্বরে।