পেকুয়ায় সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ

64

পেকুয়ায় পিকআপ ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ চারজন নিহত ও অপর দুই যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আঞ্চলিক সড়কের নন্দীরপাড়া স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতরা হলেন কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার মৃত গিয়াস উদ্দিনের আমিনুল কবির (২৮), কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মাস্টার সৈয়দ আলমের ছেলে মো. আক্কাস (৩৫), আবদুল হান্নানের ছেলে দিদারুল ইসলাম (২৮) ও পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক আবু তালেব (৩৮)। আহতরা হলেন নিহত আক্কাসের মেয়ে সোনিয়া আক্তার (১৬) ও কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ মগডেইল এলাকার বাহার উল্লাহর ছেলে নেজাম উদ্দিন (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট থেকে অটোরিকশাটি ৫ যাত্রী নিয়ে চকরিয়া যাচ্ছিল। এ সময় অটোরিকশাটি সড়কের নন্দীর পাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুভর্তি একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অটোরিকশার যাত্রী আমিনুল কবির।
এসময় স্থানীয়রা সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ গুরুতর আহত যাত্রীদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে চমেক হাসপাতালে যাওয়ার পথে অটোরিকশার চালকসহ আরও তিনজন নিহত হন। ট্রাকটির চালক পেকুয়া সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহবুবুল করিম বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুর্ঘটনাকালে ট্রাকটির চালক মাদকাসক্ত ছিলেন।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে ট্রাকটির চালক পালিয়ে গেছে। নিহত চারজনের লাশ পরিবারের কছে হস্তান্তর করা হয়েছে।