পেকুয়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

16

পেকুয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। নিহত হাজেরা বেগম (২১) পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বকসু চৌকিদার পাড়ার আব্দু রহিমের ছেলে মোহাম্মদ খোকনের স্ত্রী। গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে স্বামী মোহাম্মদ খোকনের কাছ থেকে স্ত্রী হাজেরা বেগমের ঝগড়া হয়। এসময় খোকন তার স্ত্রীক মারধর করে। স্বামী বাইরে চলে গেলে কোন এক সময়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে হাজেরা বেগম। পরে খোকন বাড়ি ফিরে দেখতে পায় হাজেরা গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া নুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিন বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হলেও তাদের কোন সন্তান ছিল না। হাজেরা বেগম বারবাকিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জালিয়াকাটা এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে।
হাজেরা বেগমের পিতা বাদশা মিয়া বলেন, ‘গত ছয়মাস পূর্বে খোকন আমার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার শালিসী বৈঠকও হয়। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এদিকে পেকুয়া থানার এসআই শফিকুর রহমান ও এসআই ইয়াকুব একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পুরিদর্শন করেছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য বিকেলে নিহতের লাশ কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল আজম জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। নিহতের শ^শুরবাড়ির লোকজন পালিয়েছে। কাউকে আটক করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।