পেকুয়ায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

41

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ৫ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টসহ পেকুয়া থানা পুলিশ ওই মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্নদ্বীপ করিয়ারদিয়ার বাইন্যাপাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে।
পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া নারীর মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানতে পারব। গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে থানায় আনা হয়েছে তবে তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। মূলত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা বাড়িতে চলে যাবেন।
নিহত গৃহবধূর নাম জিনুয়ারা বেগম (২০)। তিনি করিয়ারদিয়া বাইন্যাপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ রিদুয়ানের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২২ জুলাই (সোমবার) রাত ১১ টার দিকে জিনুয়ারা বেগমের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্বামীর বসতবাড়ির একটি কক্ষে গলায় উড়না পেঁচিয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেন। রাসেল, শহিদুল্লাহ, হাকিম উল্লাহসহ স্থানীয়রা জানান, ওই দিন রাতে বাইন্যাপাড়ায় জিনুয়ারা বেগমের জেঠাত ভাইয়ের বিয়ে হচ্ছিল। ওই বিয়েতে জিনুয়ারার স্বামী রিদুয়ান দাওয়াত খেতে যান। বিয়ে বাড়ি ও জিনুয়ারার শ্বশুরবাড়ি কাছাকাছি দূরত্বে। এ সময় জিনুয়ারার আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্বামীসহ নিকটজনরা দ্রুত ওই স্থানে এসে বাড়ির সিলিংয়ে লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
জিনুয়ারার ছোট ভাই ইলিশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. তারেক জানায়, আমি ও দুলাভাই এক সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে রাত ৯ টার দিকে দাওয়াত খেতে যাই। আমরা দুই জনে এক সাথে ছিলাম। হঠাৎ কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পেয়েছি। আমি আর দুলাভাই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছি। বড় আপা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
জানা গেছে, ২ বছর পূর্বে জিনুয়ারার বিয়ে হয়েছে। স্বামী রিদুয়ান ১ বছর আগে বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন। অনেকেই জানান, ঝুলন্ত অবস্থায় তারা মরদেহ দেখতে পেয়েছিল। সেখানে একটি চিরকুট ছিল। ছোট ভাই তারেক সেটি সংরক্ষণ করেছিলো। আত্মহত্যার মূল রহস্য চিরকুটটি উদ্ধার করলে বেরিয়ে আসবে।